ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

‘বারইপাড়া নতুন খাল হবে চট্টগ্রামের ‘হাতির ঝিল’’

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০২:৩২, ২৯ জানুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘বারইপাড়া নতুন খাল হবে চট্টগ্রামের ‘হাতির ঝিল’’

বারইপাড়া নতুন খাল হবে চট্টগ্রামের ‘হাতির ঝিল’- বলে মন্ত‌ব‌্য করেছেন চট্টগ্রামের সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন।

জলাবদ্ধতা নিরসনে নগরীতে বহদ্দার হাট বারইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত ২.৯ কিমি দীর্ঘ নতুন খাল খনন কাজ শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবারে ওয়াইজার পাড়া মাজার সংলগ্ন এলাকায় খনন কর্মসূচি উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন।

নতুন এই খাল বহদ্দারহাট বারই পাড়া হাইজ্জার পুল থেকে স্কয়ার কমিউনিটি সেন্টার সংলগ্ন শাহ আমানত ব্রিজ সংযোগ সড়ক অতিক্রম করে নূর নগর হাউজিং সোসাইটি, ওয়াইজার পাড়া মাজার হয়ে বলির হাট বলি মসজিদের পাশ দিয়ে কর্ণফুলী নদীতে গিয়ে পড়বে।

এই নতুন খাল খনন প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ১২৫৬ কোটি ১৫ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। এতে সরকারি জিওবি অর্থায়নে হবে ৯৪২ কোটি ১২ লাখ টাকার কাজ। অন্যদিকে চসিকের নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় ৩১৪ কোটি ৪ লাখ টাকার প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে। খাল খনন কাজে অধিগ্রহণকৃত ২৫.১৬৭ জমির মূল্য ক্রয় বাবদ করা হবে ১১০৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।

উদ্বোধনকালে মেয়র জানান, ১৯৯৫ সালের ড্রেনেজ মাস্টার প্ল্যান অনুসরণ করে বহদ্দার হাট বারইপাড়া থেকে কর্নফুলী নদী পর্যন্ত নতুন খাল খনন করার পরিকল্পনা নিয়ে এক ডিপিপি তৈরি করা হয়েছিল। সেখানে খালের দুপাশে সড়ক নির্মাণ করে খাল খননের বিষয় উল্লেখিত থাকে।

কিন্তু একনেক সভায় সংযোজনীসহ প্রকল্পের চুড়ান্ত আলোচনায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রকল্পকে পর্যটন স্পট হিসেবে রূপায়নের নির্দেশনা দেন। তিনি নান্দনিক দিক বিবেচনায় খালের দুপাশে ওয়াক ওয়ে ব্যবস্থা রাখার নির্দেশনা দেন।

প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে শুলকবহর, ষোলশহর, বাকলিয়াসহ সংশ্লিষ্ট এলাকার জলাবদ্ধতা সমস্যা আর থাকবে না। একই সঙ্গে খালের দুপাশে সড়ক ও ওয়াক ওয়ে নির্মাণ হলে নগরবাসীর নতুন যোগাযোগ ব্যবস্থা সৃষ্টির পাশাপাশি বিনোদন স্পট হিসেবেও পরিচিত পাবে।

চট্টগ্রাম নগরে বহদ্দার হাট বারই পাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত এই খাল হবে ঢাকার হাতির ঝিল প্রকল্পের আদলে। ভৌগলিক অবস্থানের কারণে এই খাল খনন প্রকল্পের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সবাইকে মুগ্ধ করবে।

এই প্রকল্পের প্রাথমিক মেয়াদ ছিল ২০১৪ জুলাই থেকে ২০১৭ জুন পর্যন্ত। পরবর্তীতে মেয়াদ সংশোধন করে তা চলতি বছর আগামী জুন পর্যন্ত করা হয়েছে। ২০১৮ সালের ৭ নভেম্বর প্রকল্পের প্রথম সংশোধনী একনেকে অনুমোদন লাভ করে।

উদ্বোধনী এই অনুষ্ঠানে চসিক কাউন্সিলর হারুনুর রশীদ, আশরাফুল আলম, চসিক প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল সোহেল আহমদ, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিকসহ স্থানীয় জনসাধারণ, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

 

চট্টগ্রাম/রেজাউল/বুলাকী

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়