ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

গ্রেপ্তারের পর যুদ্ধাপরাধীদের ছেড়ে দেবার অভিযোগ

বরগুনা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:২০, ২৯ জানুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
গ্রেপ্তারের পর যুদ্ধাপরাধীদের ছেড়ে দেবার অভিযোগ

বরগুনায় যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গ্রেপ্তারি পরওয়ানাভুক্ত ছয় আসামিকে গ্রেপ্তারের পর ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার বরগুনা প্রেসক্লাবে মামলার বাদী ও মুক্তিযোদ্ধারা এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে মামলার বাদী শহীদ পরিবারের সদস্য মিজানুর রহমান আবু, পাথরঘাটা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আবদুল খালেকসহ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধারা এই সংবাদ সম্মেলন করেন।

এসময় লিখিত বক্তব্যে মামলার বাদী অভিযোগ করেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে মামলার পর ৩১ ডিসেম্বর ট্রাইবুনাল পাথরঘাটার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবদুল মান্নান, ফজলুল হকসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

এ আদেশ মেইলে পুলিশের নিকট পৌঁছানোর পরে বাদী মুক্তিযোদ্ধারা আসামি ফজলুল হককে আটক করে পাথরঘাটা থানায় সোপর্দ করে। পুলিশ তাকে হাতকড়া দিয়ে ভ্যানে করে নিয়ে আসে। পরের দিন ১ জানুয়ারি তাকে পুলিশ ছেড়ে দেয়। একইভাবে আবদুল মান্নান কেও কালমেঘা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার করে মান্নানের আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে গোপন পুলিশি পাহারায় রেখেছে।

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বরগুনা -২ আসনের সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমন প্রভাব বিস্তার করে বাঁচানোর পাঁয়তারা করছেন।

এসময় উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধারা জানান, যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে রাজাকার কমান্ডার খলিলুর রহমানের ছেলে বরগুনা-২ আসনের সাংসদ শওকত হাচানুর রহমান রিমন সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করছেন। তিনি এইসব রাজাকারদের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। রিমনের মদদেই রাজাকার থেকে আবদুল মান্নান বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে পাথরঘাটার সাবেক মুক্তিযোদ্বা কমান্ডার আ. খালেক, শহীদুল আলম তালুকদার, মনি মণ্ডল, শহীদুল ইসলাম মুকুল তালুকদার, (অবঃ) সেনা কর্মকর্তা আ. আব্দুস ছালাম, মুক্তিযোদ্ধা আলি আকবর, আ. মন্নান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

বরগুনা-২ আসনের সাংসদ শওকত হাচানুরর রহমান রিমন মুঠোফানে বলেন, ‘বাদী ও মুক্তিযোদ্ধাদের অভিযোগ বানোয়াট ও মনগড়া। ওনারা সম্মানিত মুক্তিযোদ্ধা। আমি ওনাদের সম্মান করি, শ্রদ্ধা করি। কিন্ত আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের এজেন্ডা নিয়ে ওনারা আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ আনছেন, যা আমার জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক।’

পাথরঘাটা থানার ওসি (তদন্ত) সাইদ আহম্মেদ তার বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘কোন আসামিকে আমার জানা মতে কেউ ধরিয়ে দেয়নি এবং আদালত থেকেও কোন গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পাইনি।‘

তিনি জানান, আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা না থাকলে যার তার কথায় কোন আসামিকে গ্রেপ্তার করা যায় না।


রুদ্র/বুলাকী

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়