ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

বিশাল চাহিদায় ৮ এসি চেয়ার টিকেট পেল শায়েস্তাগঞ্জ জংশন

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:০৬, ২৯ জানুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বিশাল চাহিদায় ৮ এসি চেয়ার টিকেট পেল শায়েস্তাগঞ্জ জংশন

শায়েস্তাগঞ্জ জংশনে ট্রেনযাত্রীদের আসন সংকট দীর্ঘদিনের। বর্তমানে প্রতিদিন তিন হাজার যাত্রীর বিপরীতে ঢাকা ও চট্রগ্রামের আন্তঃনগর ৬টি ট্রেনে বরাদ্দ মাত্র ৩১৯টি টিকেট।

এখান থেকে ঢাকাগামী ট্রেন হচ্ছে চারটি- কালনি, পারাবত, জয়ন্তিকা ও উপবন। চট্রগ্রামগামী দুটি- পাহাড়িকা ও উদয়ন।

এই দুরাবস্থার মধ্যেও আশার খবর হচ্ছে, সিলেট থেকে চট্রগ্রামগামী পাহাড়িকা ট্রেনে ৮টি এসি চেয়ারের টিকেট নতুন করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তবে সিলেট থেকে চট্রগ্রামগামী অপর ট্রেন উদয়নের টিকেট বাড়ানো হয়নি।

২৬ জানুয়ারি সিলেট-চট্রগ্রামগামী পাহাড়ি ট্রেনে নতুন কোচ সংযুক্ত করে উদ্বোধন করা হয়েছে।

এর আগে সংসদ সদস্য আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহিরের কাছে জংশনে ট্রেনের টিকেট বাড়ানোর জন্য দাবি জানান স্থানীয়রা । এ প্রেক্ষিতে তিনি আপ্রাণ চেষ্টা করবেন বলে জানান।

জংশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘শায়েস্তাগঞ্জে সিলেট থেকে চট্রগ্রামগামী পাহাড়ি ট্রেনে কাউন্টার ও অনলাইনে শো-চেয়ার ৩৫টি ও ৩টি এসি সিট মিলে ছিল ৩৮টি টিকেট। এখানে এ ট্রেনে ২৬ জানুয়ারির পর থেকে নতুন করে ৮টি ওসি চেয়ার বরাদ্দ দেওয়ায় বর্তমান টিকেট সংখ্যা ৪৬টি হয়েছে।’

অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রতিদিন এ জংশনে চট্টগ্রামগামী যাত্রী সংখ্যা প্রায় ৫০০ থেকে ৮০০। সেখানে এ জংশনে সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন ট্রেনের টিকেট ৪০টি। ওই পরিমাণ যাত্রীর মাঝে উদয়ন ও পাহাড়িকা মিলে মাত্র ৮৬টি টিকেট। বাকী যাত্রীরা দাঁড়িয়ে গন্তব্যে যাত্রা করছে।

সূত্র মতে, শায়েস্তাগঞ্জ জংশনে সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী পাহাড়িকা ট্রেন দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে (সাপ্তাহিক বন্ধ শনিবার) ও উদয়ন ট্রেন রাত ১২টা ৪০ মিনিটে ছাড়ে (সাপ্তাহিক বন্ধ রবিবার), আবার চট্টগাম থেকে সিলেটগামী পাহাড়িকা দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে (সাপ্তাহিক বন্ধ সোমবার) ও উদয়ন রাত ২টা ৪৫ মিনিটে পৌঁছায় (সাপ্তাহিক বন্ধ শনিবার) ।

নতুন কোচ নিয়ে উদ্বোধন হওয়া পাহাড়িকা সিলেট থেকে চট্রগাম পৌঁছে একই কোচ নিয়ে উদয়ন হয়ে সিলেটের উদ্দেশ্যে যাত্রা করছে।

জংশনে অপেক্ষমান পাহাড়িকা ট্রেনের যাত্রী রজব আলী ও পারভীন আক্তার হতাশা প্রকাশ করে জানান, তারা আসন বিহীন টিকেট কিনেছেন। আরেক যাত্রী রিপন মিয়া দুই ট্রেনে কমপক্ষে আরো ২০০টি টিকেট বাড়ানোর জন্য তিনি কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবি জানিয়েছেন। এভাবে হতাশা প্রকাশ করলেন আরো বেশ কয়েকজন যাত্রী। টিকেটের সংকট নিয়ে তারা খুবই হতাশ। এরমধ্যে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে মাত্র ৮টি এসি চেয়ার টিকেট। কিছুটা হলেও ট্রেন যাত্রীদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে।

তবে আশাবাদী শায়েস্তাগঞ্জ উন্নয়ন পরিষদ সভাপতি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ গাজীউর রহমান ইমরান। তিনি বলেন, ‘দাবি করার সাথে সাথে টিকেট বাড়তে শুরু করেছে। আশা করছি এভাবে আরো টিকেট বরাদ্দ আসবে।’

তিনি বলেন, ‘যাত্রী সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। সে তুলনায় টিকেট বাড়ছে না। এ অবস্থায় এ রেলপথে দুইটি নতুন ট্রেন দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবী জানিয়েছি।’


মামুন চৌধুরী/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়