নিজের উপার্জনে চলতে চান কমলা বানু
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ জংশনে শীতে চিতই পিঠা বিক্রি করেন সত্তরোর্ধ্ব কমলা বানু। পরিচ্ছন্ন পরিবেশে তৈরি তার পিঠার বেশ চাহিদা।
সরিষা ও কাঁচা মরিচের ভর্তা দিয়ে চিতই পিঠা খেলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ গাজীউর রহমান ইমরান। তিনি বলেন, কমলা বানুর চিতই পিঠার স্বাদই আলাদা।
তার সঙ্গে আসা সমাজসেবক জুনায়েদ তালুকদার পিঠা খেয়ে বলেন, সরিষা ভর্তার সঙ্গে চিতই পিঠার এত স্বাদ, তা তার জানা ছিল না।
সংবাদকর্মী নূরুল হক কবির জানান, কমলা বানুর তৈরি পিঠা খেতে জেলা শহর থেকে ২৫ টাকা ভাড়া দিয়ে এসেছেন। ১০টা পিঠা ৫০ টাকায় কিনে নিয়ে যাচ্ছেন, বাড়িতে সবাই মিলে স্বাদ নেবেন।
কমলা বানু শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নছরতপুর গ্রামের মৃত মর্তুজ আলীর স্ত্রী। তিনি এখন জংশনের কোয়ার্টারের একটি ঘরে বসবাস করেন। তার এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলে শ্রমিকের কাজ করেন। আর মেয়ে এক কোম্পানিতে স্বল্প বেতনে কর্মরত। তার বিয়ে হলেও স্বামীর সঙ্গে মিলমিশ না হওয়ায় মায়ের ঘরে থাকেন।
কমলা বানু জানান, তার বয়স ৭০ বছর। তবে তিনি হার মানতে নারাজ। নিজের উপার্জনে বেঁচে থাকতে চান। তাই কারো কাছে হাত না পেতে পিঠার দোকান দিয়েছেন।
তিনি জানান, প্রতিদিন বিকেল থেকে অনেক রাত পর্যন্ত পিঠা বিক্রি করে আয় হয় ২০০-২৫০ টাকা। এতে তিনি সন্তুষ্ট। যত দিন বেঁচে থাকবেন এভাবেই চলতে চান।
মামুন/বকুল
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন