ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

প্লাস্টিকে বিপন্ন হচ্ছে পর্যটন স্পটের সৌন্দর্য

বান্দরবান প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:১৪, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
প্লাস্টিকে বিপন্ন হচ্ছে পর্যটন স্পটের সৌন্দর্য

বান্দরবানের থানচির রেমাক্রির পাথুরে নদীতে ফেলা প্লাস্টিক

প্রকৃতি তার সব রূপ ঢেলে দিয়ে সাজিয়েছে বান্দরবানের প্রাকৃতিক পরিবেশকে।

এ রূপের টানে প্রতিবছর হাজার হাজার পর্যটক বান্দরবান ভ্রমণে আসলেও তাদের অসেচতনতায় নষ্ট হচ্ছে বান্দরবানের পর্যটন স্পটগুলোর প্রাকৃতিক পরিবেশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার থানচির পর্যটন স্পট নাফাখুম, আমিয়াখুম, বেলাখুম, সাতভাইখুম, রেমাক্রীমুখ পাথরসিঁড়ি, রুমা উপজেলার রিজুক, বগালেক, লামার মিরিঞ্জা, জেলা সদরের নিলাচল, মেঘলা, প্রান্তিক লেক শৈল প্রপাত, রাম জাদিসহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ভ্রমণের সময় পর্যটকরা যেখানে সেখানে পলিথিন, প্লাস্টিকের বোতল, চিপসের প্যাকেট যত্রতত্রভাবে ফেলে প্রাকৃতিক পরিবেশকে মারাত্বকভাবে নষ্ট করছেন।

জেলা শহরের মেঘলা, নীলাচলসহ কয়েকটি স্পটে আবর্জনা ফেলার জন্য ডাস্টবিন থাকলেও উপজেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ময়লা-আবর্জনা ফেলার ডাস্টবিন নেই। কিন্তু পর্যটকরা সকল স্পটের নির্ধারিত স্থানে ময়লা আবর্জনা না ফেলে যত্রতত্র ফেলেন। এতে নোংরা হয় প্রাকৃতিক পরিবেশ।

থানচি উপজেলার রেমাক্রী মুখ পাথর সিঁড়িতে ভ্রাম্যমাণ দোকান ব্যবসায়ী উশৈমং মারমা জানান, পর্যটক ও স্থানীয়রা ব্যাগভর্তি পলিথিন, প্লাস্টিকের বোতল, চিপস প্যাকেট ইত্যাদি নিয়ে আসে এবং খাওয়ার পর যেখানে সেখানে ফেলে দেয়। ফলে এসব জায়গা দিন দিন সৌন্দর্য হারাচ্ছে। আর প্রকৃতি হারাচ্ছে তার চিন চেনা রূপ।

গত ২৭ জানুয়ারি চট্টগ্রাম কলেজের অর্থনীতি বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী বান্দরবান শহরের নীলাচল পর্যটন কেন্দ্র ভ্রমণে আসে। এসময় তারা পুরো নীলাচল জুড়ে প্লাস্টিক ও কাগজ ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেললে বান্দরবানের স্থানীয়রা সামাজিক মাধ্যমে প্রতিবাদ করে।

এই ব্যাপারে বান্দরবানের ছাত্র রাজীব রাহাত জানান, তারা যেভাবে নীলাচলকে নোংরা করেছে, তা খুব অশোভন। সৌন্দর্য বাজায় রাখার শিক্ষাটা না দিতে পারলে কোন প্রতিষ্ঠানের উচিত নয় শিক্ষা সফরে আসা।

আরো জানা গেছে, অধিকাংশ পর্যটক সাঙ্গু নদী পথে বান্দরবানের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র থানচির নাফাখুম, রেমাক্রি, বড় পাথর, ছোট মদক, বড় মদক এবং রুমা উপজেলার রিজুক ভ্রমণে যান।

এসময় নদীতে তারা ময়লা-আবর্জনা ফেলেন। এগুলো নদীতে থাকা বড় বড় পাথরের সঙ্গে তা আটকে গিয়ে একদিকে যেমন নদীর জলজ প্রাণী প্রাণ হারাচ্ছে, অন্যদিকে জলজ উদ্ভিদ বিকশিত হতে পারছে না।

পর্যটন স্পট ছোট মদকের ব্যবসায়ী মং প্রু মার্মা জানান, এখানে যারা আসনে তারা সবাই শিক্ষিত কিন্তু তারা যেভাবে যত্রতত্র প্লাস্টিক ফেলেন তাতে মনে হয়, তারা প্রকৃতি ও পরিবেশ নিয়ে একটুকুও সচেতন নয়।

এই ব্যাপারে থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুল হক মৃদুল জানান, উপজেলার কিছু কিছু পর্যটন স্পটে আমরা প্রকৃতির রূপই রাখতে চাই, সেখানে আর কোন অবকাঠামো হবেনা। তবে এই বিষয়ে পর্যটকদের সচেতন হতে হবে।

 

বাসু/বুলাকী

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়