সিলোকোসিস রোগে আরেক পাথর শ্রমিকের মৃত্যু
লালমনিরহাট সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
লালমনিরহাটের পাঠগ্রাম উপজেলায় এক পাথর শ্রমিক সিলোকোসিস রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।
শনিবার দুপুরে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত মোমিন মিয়া (৩৪) উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের উফারমারা নাটারবাড়ী গ্রামের সহিদার রহমানের ছেলে। মোমিন মিয়া বুড়িমারীস্থ পাথর শ্রমিক সমিতির সভাপতি।
মোমিন মিয়ার ভাই আসাদুল ইসলাম জানান, মোমিন মিয়া দীর্ঘ দিন পাথর শ্রমিকের কাজ করতেন। এক সময় তিনি সিলোকোসিস রোগে আক্রান্ত হন। পরে তাকে জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। ২০১২ সালে যখন মোমিনের রোগ ধরা পড়ে, তখন আর তিনি বিয়ে করেননি। তারপর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে তাকে।
১৫ দিন আগে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফেরে মোমিন। বৃহস্পতিবার আবার অসুস্থবোধ করলে তাকে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
২০০০ সালে প্রথম একটি কোম্পানি পাথর ভাঙার জন্য ক্র্যাশার মেশিন নিয়ে আসে। সেটি বুড়িমারী স্থলবন্দরে স্থাপন করা হয়। তারপর থেকে ক্রমাগত বাড়তে থাকে ক্র্যাশার মেশিন। পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে সিলোকোসিস রোগে শ্রমিকের মৃত্যু।
মেশিনে পাথর ভাঙার সময় পাথরের কণা শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে শরীরে ঢুকে সিলোকোসিস রোগ হয়। এর রোগে ফুসফুস নষ্ট হয়ে যায়।
স্থানীয় বেসরকারি একটি সংস্থা জানায়, সিলোকোসিস রোগে জেলায় এ পর্যন্ত ৭৩ জন শ্রমিক মারা গেছে; যার সর্বশেষ শিকার মোমিন মিয়া।
লালমনিরহাট/ফারুক আলম/বকুল
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন