বন্ধুকে দিয়ে স্ত্রীকে ধর্ষণ করানোর অভিযোগ
বগুড়ায় বন্ধুকে দিয়ে স্ত্রীকে ধর্ষণ করানোর অভিযোগে রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নির্যাতিত গৃহবধূর বাবা আলম মন্ডল শনিবার শাহজাহানপুর থানায় ওই নারীর স্বামী ও তার এক বন্ধুকে আসামি করে মামলা করেন। মামলায় গৃহবধুকে স্বামী তার বন্ধুকে দিয়ে ধর্ষনের পর চুল কেটে গায়ে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ করা হয়। রোববার বগুড়া শহরের ঠনঠনিয়া থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে অভিযুক্ত স্বামীকে। তবে পলাতক রয়েছে মামলার আরেক আসামি গৃহবধূর স্বামীর বন্ধু। গৃহবধূ আশঙ্কাজনক অবস্থায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। মামলা দায়েরের তথ্য নিশ্চিত করেছেন শাজাহানপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমবার হোসেন।
প্রসঙ্গতঃ বগুড়া শহরের চকফরিদ এলাকার খন্দকারপাড়ার ডেকোরেটর শ্রমিক মো. আলম মন্ডলের মেয়ে সানিয়া আক্তার আইভির (২০) বিয়ে হয় গাবতলী উপজেলার মালিয়ানডাঙ্গা গ্রামের রফিকুল ইসলামের সঙ্গে। বিয়ের পর থেকে তারা বগুড়া শহরের কলোনি চকলোকমান এলাকায় ভাড়া থাকতেন। সাংসারিক নানা সমস্যার জের ধরে মাঝে মধ্যেই আইভিকে নির্যাতন করতো স্বামী। যৌতুকের টাকা চেয়ে মারপিটও করতো। এসব ঘটনায় ২০১৬ সালে নারী নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন আইভি। ওই মামলা তুলে না নেয়ায় গত শনিবার দুপুরে স্বামী রফিকুল ইসলাম স্ত্রীকে ঘরের মধ্যে হাত-পা বেঁধে তার এক বন্ধুকে দিয়ে ধর্ষণ করায়। এরপর ব্লেড দিয়ে তার শরীরের কয়েকটি স্থানে কেটে দেয়। মাথার চুল কেটে দিয়ে মারপিট করতে থাকে। এরপর সে ঘরের মধ্যে আগুন লাগিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। কান্নার শব্দ পেয়ে এলাকাবাসী এসে আগুন নেভায় এবং ওই নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ওই দম্পতির আট বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে।
এ ব্যাপারে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, মামলার অভিযোগের সত্যতা সম্পর্কে তদন্ত না করে কিছু বলা যাবে না। গ্রেপ্তারের পর অভিযুক্ত স্বামী তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছে বলে জানায় পুলিশ।
বগুড়া/আখতারুজ্জামান/সাজেদ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন