ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

শেখের কিল্লায় বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের দাবি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৪৩, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
শেখের কিল্লায় বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের দাবি

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত শেখের কিল্লায় স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের দাবী জানিয়েছে রামগতির গন‌্যমান‌্য ব‌্যক্তিরা।

লক্ষ্মীপুরের এ উপজেলার চর পোড়াগাছা গ্রামে বঙ্গবন্ধুর আগমনের ৪৮ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে এ দাবি জানান তারা।

স্থানীয় ‘বঙ্গবন্ধু শেখের কিল্লা স্মৃতি ইতিহাস রক্ষা কমিটি’ বৃহস্পতিবার বিকেলে ‘শেখের কিল্লা মাইলস্টোন’ পাদদেশে সার্বজনীন অলোচনা সভার আয়োজন করে।

কমিটির সভাপতি হাজী মো. উল্ল্যাহ সওদাগরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব ও বেসরকারি সংস্থা ডরপের চেয়ারম্যান মো. আজহার আলী তালুকদার। অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ডরপের প্রতিষ্ঠাতা ও সেদিনের নেতৃত্ব ও অংশগ্রহণকারী এএইচএম নোমান।

অনুষ্ঠানে একাত্মতা পোষণ করে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা ফারুক, পোড়াগাছা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুল আমিন হাওলাদার, দৈনিক নোয়াখালী প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদক মো. রফিকুল আনোয়ার, কথা সাহিত্যিক ও কবি রোকেয়া ইসলাম, বুরো বাংলাদেশ’র কো-অর্ডিনেটর কবি ফেরদৌস সালাম, উপজেলা পানি ব্যবস্থাপনা নাগরিক কমিটির সভাপতি মো. আজিজুল ইসলাম, দৈনিক আমাদের অর্থনীতির স্টাফ রিপোর্টার মতিনুজ্জামান মিটু, বঙ্গবন্ধু শেখের কিল্লা স্মৃতি ইতিহাস রক্ষা কমিটি’র সদস্য সচিব মো. মোমিন উল্যাহ, কমিটির সদস্য মো. আব্দুল জলিল, ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন প্রমূখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন কমিটির সদস্য আবুল কালাম আজাদ ও মো. আলাউদ্দিন।

বক্তারা আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত স্থানটিতে এই অঞ্চলের মানুষের একান্ত আশা-আবেদন ‘শেখের কিল্লা’ স্থানে স্মৃতিস্তম্ভ, পর্যটক রেস্ট হাউজ, পাঠাগার সম্বলিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখের কিল্লা স্বপ্ন কমপ্লেক্স’ স্থাপন করা হউক। এতে করে মেঘনার সৌন্দর্যসহ এলাকাটি পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে উঠবে।

এ দিন উপলক্ষে জমিদাতা হারুন মোল্লা, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রব, হাজী মো. উল্ল্যাহ সওদাগর, আব্দুল মালেক বাচ্চু, ইসমাইল হোসেনসহ স্থানীয়রা বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত স্থানটিতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের লক্ষ্যে র বঙ্গবন্ধুর আগমন স্মরণে ২০টি সীমানা পিলার স্থাপন করেন।

প্রসঙ্গত, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি রামগতি আসেন। সেদিন বঙ্গবন্ধু ভাষণ শেষে ওড়া-কোদাল হাতে নিয়ে নিজের হাতে মাটি কেটে স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা নির্মাণের কাজ উদ্বোধন করেন। সেটি এখন রামগতি-নোয়াখালী আঞ্চলিক সড়ক হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে এবং বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত স্থানটি ‘শেখের কিল্লা’ নামে পরিচিতি লাভ করেছে। এই কিল্লার পাশেই পরবর্তীতে গড়ে উঠেছে দেশের প্রথম ‘গুচ্ছগ্রাম’। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি রক্ষায় ৪৮ বছরেও রাষ্ট্রীয়ভাবে কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। বেসরকারি সংস্থা ‘ডরপ’ স্থানটির গুরুত্ব ও ইতিহাস তুলে ধরতে কয়েক বছর পূর্বে ‘শেখের কিল্লা মাইলষ্টোন’ স্থাপন করে।


ঢাকা/হাসান/সাজেদ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়