বিদ্যুৎস্পৃষ্টে চিকিৎসাধীন এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু

সাভারের আশুলিয়ায় ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণে অব্যবস্থাপনার কারণে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে জোনায়েদ হোসেন ইমন নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর।

বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে ঢাকা মেডিক‌্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় ওই শিক্ষার্থীর।

এর আগে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের কবিরপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তার শরীরের ৯০ শতাংশ ঝলসে গিয়েছিল।

নিহত জোনায়েদ হোসেন ইমন (১৬) আশুলিয়ার কবিরপুরের গফুর মিয়ার ছেলে। সে আশুলিয়ার কবিরপুরের অঞ্জনা মডেল হাই স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল।

নিহতের বাবা গফুর মিয়া অভিযোগ করে জানান, ফুটওভার ব্রিজটির অধিকাংশ কাজ শেষ হলেও পূর্ব পাশের সিড়ির উপর দিয়ে ৩৩ হাজার ভোল্টেজের বৈদ্যুতিক লাইনের তাড় টানা ছিলো। ফুটওভার ব্রিজের পূর্বপাশের অংশ ছাউনি না দিয়েই কাজ শেষ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। আর এই ব্রিজ দিয়েই পারাপারের সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ গেল তার ছেলের। শুধুমাত্র অব্যবস্থাপনার কারণেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অকাল প্রাণ দিতে হলো তার ছেলেকে।

এই ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।

অঞ্জনা মডেল হাই স্কুলের অর্থনীতি ও ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক সজিব খান জানান, ইমন অত্যন্ত মেধাবী ও শান্ত স্বভাবের ছিল। সে স্কুলেও নিয়মিত ছিল। শিক্ষা জীবনের প্রথম ধাপের শেষ পরীক্ষাটা যে ইমনকে মৃত্যু দিয়ে দিতে হবে তা হয়ত কেউই জানত না! তার অকাল এই মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী তাদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনা হোক।

আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাবেদ মাসুদ জানান, এঘটনায় নিহত ওই স্কুল শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণকারী ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

 

সাব্বির/বুলাকী