ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

খুমেককে আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টাইন ঘোষণার সিদ্ধান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৩:২৬, ২৬ মার্চ ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
খুমেককে আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টাইন ঘোষণার সিদ্ধান্ত

ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়ার আশঙ্কায় পুরো খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকেই (খুমেক) করোনা আইসোলেশন ইউনিট ও হোম কোয়ারেন্টিন ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি)মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের সঙ্গে বৈঠকের পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। খুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. এটিএম মঞ্জুর মোর্শেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে, খুলনা জেনারেল (সদর) হাসপাতালে সর্দি-কাশি, জ্বরের রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হবে। যদি কোনো রোগী সন্দেহজনক মনে হয় তাহলে তাকে খুমেক হাসপাতালে রেফার্ড করা হবে।

এছাড়া, অন্যান্য রোগের চিকিৎসা বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকগুলোতে দেয়ার চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে।

এর আগে বুধবার কেসিসির মেয়রের সঙ্গে খুমেক হাসপাতালের পরিচালক ও সিভিল সার্জনসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হয়।

খুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. এটিএম মঞ্জুর মোর্শেদ জানান, সিটি মেয়রের সঙ্গে স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া দরকার সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক খুমেক হাসপাতালটি পুরোটাই করোনা ইউনিট ও কোয়ারেন্টাইনের জন্য করার প্রস্তাব দেন। আমরাও মেয়রের সঙ্গে একমত প্রকাশ করি। সেক্ষেত্রে হাসপাতালে আপাতত কোনো রোগী ভর্তি বা চিকিৎসা দেওয়া হবে না। শুধুমাত্র করোনা সন্দেহজনক ব্যক্তিদের সেবা দিতে হবে। রোগীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করেই পুরো হাসপাতালটিকে করোনা ইউনিট গঠন করা হবে।

খুলনার সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ জানান, খুমেক হাসপাতালটিকে পুরোটাই করোনা ইউনিট চালুর করার প্রক্রিয়া চলছে। দ্রুত এ বিষয়ে সিটি মেয়রের সাথে বৈঠক হবে। সিদ্ধান্তটি ঠিক থাকলে খুলনা সদর হাসপাতালে সর্দি-কাশি, জ্বরের রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করবেন। যদি কোনো রোগী সন্দেহজনক মনে হয় তাহলে তাকে খুমেক হাসপাতালে রেফার্ড করা হবে।

তিনি আরো জানান, করোনা প্রতিরোধে হাসপাতালে পার্সোনাল প্রটেক্টিভ ইক্যুইপমেন্টস (পিপিই) পৌঁছায়নি। পরিবহণ বন্ধ থাকার কারণে এ সমস্যাটা সৃষ্টি হয়েছে। এখন ১ হাজার পিস পিপিই আনা যায় কি না সে বিষয়ে কথা হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে।

এদিকে, খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ইউনিটে মঙ্গলবার রাতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে একজন পুলিশ সদস্য ও তার বাবাকে ভর্তি করা হয়। ভর্তি পুলিশ সদস্য খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ লাইনের কনস্টেবল। তার সেবায় নিয়োজিত থাকায় বাবাকেও ভর্তি রাখা হয়েছে।

খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এ টি এম মঞ্জুর মোর্শেদ জানান, রাতে ওই পুলিশ সদস্যকে করোনা সন্দেহে তার বাবা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পুলিশ সদস্যের জ্বর, মাথাব্যথা, সর্দি-কাশি ও গলা ব্যথা ছিলো। প্রাথমিক পরীক্ষার পর তাকে করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয়। তিনি এই হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হওয়া প্রথম রোগী। চিকিৎসাসহ সেবা দেওয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কারণে তার বাবাকেও তাৎক্ষণিক করোনা ইউনিটে রাখা হয়। তবে, ভর্তি পিতা-পুত্র সুস্থ আছেন। তারা দুই একদিনের মধ্যে বাসায় চলে যাবেন।

 

খুলনা/নূরুজ্জামান/বুলাকী

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়