ক্রেতা শূন্য হিলি বাজার, কমেছে সব্জির দাম

করোনার প্রাদুর্ভাবে দিনাজপুরের হিলি বাজার প্রায় ক্রেতা শূন্য।

বাজারে কমেছে সব্জির দাম, তবে স্বাভাবিক রয়েছে মাছের বাজার। সব্জির দাম কম হওয়ায় স্বস্তি ফিরছে খেটে খাওয়া দিনজুরদের। বেচাকেনা কম হওয়ায় লোকসান হচ্ছে এমনটিই বলছেন সব্জি ব্যবসায়ীরা।

রোববার (২৯ মার্চ) সকালে হিলির স্থানীয় বাজারে এমন চিত্রই দেখা গেছে।

হিলির বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা জানা যায়, করোনা ভাইরাসের সতর্কতা জারির আগে সব্জির যে দাম ছিলো এখন তার চেয়ে প্রতিটি সব্জির দাম অনেকটাই কম। প্রকার ভেদে পেঁয়াজের খুচরা দাম ছিলো ৫০ টাকা কেজি,আজ শনিবার (২৮ মার্চ) তা খুচরা দাম ৪০ টাকা কেজি দর, বেগুন ছিলো ২০ টাকা এখন ১০ টাকা, পটল ছিলো ৭০ টাকা তা এখন ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ছিলো ৭০ টাকা তা এখন কমে হয়েছে ৫০ টাকা, প্রতি পিচ পাতাকপি ছিলো ১৫ টাকা আজ তা ৮ টাকা,টমেটোর দাম ছিলো ৩০ টাকা এখন ২০ টাকা, কাঁচা মরিচ ছিলো ৬০ টাকা তা এখন ৩৫ টাকা, শিমের দাম ছিলো ৫০ টাকা এখন তা ৩০ টাকা, মিস্টি কুমড়ার দাম ছিলো ৩০ টাকা এখন তা ২০ টাকা, রসুনের দাম ছিলো ৯০ টাকা আজ তা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে।

সব্জি কিনতে আসা রিকশাওয়ালা আযাদ রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘বাজারে সব্জি কিনতে এসে স্বস্তি পাচ্ছি। ক’দিন আগে যে দামে সব্জি কিনেছিলাম আজ বাজারে প্রতিটি সব্জির দাম অনেকটাই কম। বর্তমান উপার্জন কম হলেও সব্জির বাজার কম হওয়াতে কিছুটা পুশে নিতে পারছি।’

খুচরা সব্জি ব্যবসায়ী সাগর হোসেন রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘সকাল থেকে দোকান খুলে বসে আছি। বাজারে ক্রেতার সমাগম নেই বললেই চলে। কয়েকদিন যাবত এই অবস্থা। সব ধরনের সব্জি দোকানে সাজিয়ে রেখেছি। বিক্রি করার লোক পাচ্ছি না। কাঁচা পণ্য সময় মত বিক্রি না করতে পারলে সব পচে যাবে। বিক্রি হবে না। লোকসান হবে আমার।’

এদিকে মাছ বাজার ঘুরে দেখা যায়, মাছের বাজার আগের মতো স্বাভাবিক রয়েছে। তবে কিছু কিছু মাছের দাম একটু বেশি।

দাম বেশির কারণ জানতে চাইলে মাছ ব্যবসায়ী সোহরাব হোসেন রাইজিংবিডিকে জানান, করোনা সতর্কতা জারির কারণে বাহির থেকে মাছের আমদানি হচ্ছে না। আর এলাকায় যাদের পুকুর আছে তারা মাছ তুলছেন না। ফলে বাজারে মাছে জোগান কম। এজন্য দাম বাড়তি।

 

মোসলেম/বুলাকী