ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

ঝালকাঠি কারাগারে কোয়ারেন্টাইন ওয়ার্ড

ঝালকাঠি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:০৯, ৩০ মার্চ ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ঝালকাঠি কারাগারে কোয়ারেন্টাইন ওয়ার্ড

ঝালকাঠি কারাগারে বন্দিদের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা দিতে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছেন কারা কর্তৃপক্ষ।

এরই অংশ হিসেবে কারাগারের ভেতরে নতুন বন্দিদের জন্য চালু করা হয়েছে দুটি কোয়ারেন্টাইন ওয়ার্ড। এছাড়া কমিয়ে আনা হয়েছে সাক্ষাতের সময়সীমা।

এসব পদক্ষেপের কারণে কারাবন্দিরাও খুশি বলে জানিয়েছেন কারা কর্মকর্তারা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ঝালকাঠি কারাগারে বন্দির সংখ্যা ১৬৭ জন। এর মধ্যে ১৬৩ জন পুরুষ ও ৪ জন নারী। এ কারাগারে ধারণক্ষমতা ২৮৩ জন।

সূত্র জানায়, কারাগারের ভেতরে এখন পর্যন্ত কারো করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঘটেনি। তবে নতুন কয়েদি বা সাক্ষাৎ প্রার্থীদের মাধ্যমে সংক্রমণের ঝুঁকির কথা ভেবে কারাগারে দুটি কোয়ারেন্টাইন ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে।

নতুন কোনো কয়েদি এলেই তাকে কোয়ারেন্টাইন ওয়ার্ডে পাঠানো হচ্ছে। সেখানে ১৪ দিন থাকার পর করোনাভাইরাসের কোন উপসর্গ দেখা না গেলে তাকে সাধারণ ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হবে। আর ১৪ দিনের আগে জামিন পেলে কোয়ারেন্টাইন ওয়ার্ড থেকেই সরাসরি মুক্তি দেয়া হবে।

অন্যদিকে বন্দিদের সঙ্গে স্বজনদের সাক্ষাতের সময় কমিয়ে আনা হয়েছে। এখন থেকে প্রতি ১৫ দিনে একবার সাক্ষাৎ করা যাবে। সাক্ষাতের নিধারিত স্থানে এক মিটার দূরত্বে নেট লাগিয়ে দেয়া হয়েছে।

এছাড়া কারা কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ বন্দিদের কারা অভ্যন্তরে প্রবেশের সময় জুতা জীবাণুমুক্ত করার জন্য মূল ফটকে একটি বিশেষ ট্রে রাখা হয়েছে, যার ভেতর পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট  দ্রবণ ঢেলে রাখা হয়েছে। তাতে জুতা ভিজিয়ে জীবাণুমুক্ত করে সবাইকে কারা অভ্যন্তরে প্রবেশ করানো হচ্ছে।

এছাড়া প্রতিদিন দুবার সব বন্দিদের শরীরের তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে। বন্দিদের হাত ধোয়ার সুবিধার জন্য একাধিক পয়েন্টে সাবান ও পানির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

সূচিকাজে পারদর্শী কারাবন্দিদের দিয়ে ভালো মানের মাস্ক তৈরি করে সব বন্দিদের মাঝে সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে বিশেষভাবে তৈরি করা এ মাস্ক নিতে বন্দিদের কাছ থেকে ২৫ টাকা ফি নেয়া হচ্ছে।

কারা কর্মকর্তারা জানান, করোনাভাইরাসটি কীভাবে ছড়ায় এবং তা প্রতিরোধের ব্যবস্থা ও করণীয় সম্পর্কিত বিশেষ নির্দেশনা সংবলিত পোস্টার কারা অভ্যন্তরে ও বাইরে টাঙিয়ে দেয়া হয়েছে। এসব পদক্ষেপের কারণে কারাবন্দিরাও খুশি। তারা প্রতিরোধের নির্দেশনাও মেনে চলছেন।

এ ব্যাপারে জেলসুপার শফিউল আলম বলেন, ‘ঝালকাঠি কারাগারে ১৬৭ জন কারাবন্দি রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক বন্দিদের সুরক্ষায় সব রকম ব্যবস্থা ও নজরদারি আমরা করছি। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বন্দিদের সঙ্গে স্বজনদের সাক্ষাতের সময় কমিয়ে প্রতি ১৫ দিনে একবার করা হয়েছে। নিয়মিত বন্দিদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। কোয়ারেন্টাইন ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। বন্দিদের পাশাপাশি কারারক্ষী ও কর্মকর্তাদেরও সব ধরনের নির্দেশনা মেনে চলতে বলা হয়েছে।'

 

অলোক/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়