ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

রাইজিংবিডিতে সংবাদের পর বৃদ্ধাকে ফিরে পেলো পরিবার

আদমদীঘি (বগুড়া) সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৫৬, ৩ এপ্রিল ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
 রাইজিংবিডিতে সংবাদের পর বৃদ্ধাকে ফিরে পেলো পরিবার

ভুল ট্রেনের যাত্রী হয়ে বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহারে এসে ১০ দিন আটকা পড়া ফাতেমা বেগম (৭০) অবশেষে বাড়ি ফিরেছেন।

শুক্রবার (৩ এপ্রিল) বেলা ১১টায় ফাতেমা বেগমের ছেলে দেলোয়ার হোসেন, ভাতিজা গোলাম কিবরিয়া ও যশোর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গোলাম মোস্তফা সান্তাহারে আসেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তারা ফাতেমা বেগমকে নিয়ে যশোরের উদ্দেশে রওয়ানা দেন।

এ সময় সান্তাহার পৌরসভার মেয়র তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টু, প্যানল মেয়র মজিবর রহমান, সান্তাহার পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আনিসুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

গত বুধবার (১ এপ্রিল) রাইজিংবিডিতে ‘বাড়ি ফিরতে চান ভুল ট্রেনের যাত্রী ফাতেমা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। যশোর সদর থানার উপ-পরিদর্শক বিমান তরফদার এ সংবাদ পড়ে অন্য পুলিশ সদস্যদের নিয়ে ওই বৃদ্ধার বাড়িতে যান। বৃদ্ধাকে ফিরে পেতে ওই দিন রাতেই সান্তাহার পৌরসভার মেয়রের সঙ্গে যোগাযোগ করেন বৃদ্ধার পরিবারের সদস্যরা।

সান্তাহার পৌরসভার মেয়র তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টু বলেন, ‘ওই বৃদ্ধা ২৬ মার্চ সান্তাহার স্টেশনে কান্নাকাটি করছিলেন। পরে রেল স্টেশনের টিকিট কাউন্টারে তার থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) সকালে তাকে সান্তাহার পৌরসভার একটি ঘরে স্থানান্তর করা হয়। তার দেখভালের জন্য পৌরসভার একজন পিয়নকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। ১ এপ্রিল যশোর সদর থানার পুলিশ সদস্যদের মাধ্যমে ওই বৃদ্ধার পরিবারের সাথে কথা হয়। যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক না থাকায় তারা আসতে পারছিলেন না। শুক্রবার বৃদ্ধার ছেলে দেলোয়ার হোসেন ও ভাতিজা গোলাম কিবরিয়া মাইক্রোবাস ভাড়া করে আসেন। তাদের হাতে বৃদ্ধাকে তুলে দেওয়া হয়।’

উল্লেখ্য, ২৫ মার্চ ফাতেমা বেগম ঢাকার কমলাপুর রেল স্টেশনে ভুল করে উত্তরাঞ্চলের ট্রেনে ওঠেন। ওই দিন সন্ধ্যায় সান্তাহার স্টেশনে এসে নামেন তিনি। করোনা পরিস্থিতির কারণে ২৬ তারিখ থেকে গণপরিবহন বন্ধ। ফলে তিনি আর কোথাও যেতে না পেরে সান্তাহার স্টেশনে অপেক্ষা করেন। একসময় ভয় পেয়ে কান্নাকাটি শুরু করেন। পরে সান্তাহার স্টেশনের টিকিট কাউন্টারে তার আশ্রয় হয়।

ফাতেমা বেগমের বাড়ি যশোর শহরের শংগরপুর গোলপাতা মসজিদের পাশে। স্বামী মৃত শেখ খলিল মিয়া। তার তিন মেয়ে ও এক ছেলে। ছেলে দেলোয়ার হোসেন ভাঙারি ব্যবসায়ী।

পড়ুন :



আদমদীঘি (বগুড়া)/জেন্টু/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়