বরগুনায় সন্ত্রাসী হামলায় নারীসহ আহত ৩

জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় নারীসহ তিনজন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বরগুনা সদর ইউনিয়নে উত্তর হেউলীবুনিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, বাবুল খানের মেয়ে মেয়ে রুমি (২২), জামাই আবদুল্লাহ (৩৬) ও ছেলে সবুজ (২৩)। এদের মধ্যে রুমির অবস্থা গুরুতর। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শেবাচিমে পাঠানো হয়েছে।

বাবুল খান জানান, জব্বার ও রশিদ গংয়ের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমির আইল সীমানা নিয়ে বিরোধ চলছিল। জুমার নামাজের পর স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উভয় পক্ষকে ডেকে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য সালিশ বৈঠকের জন্য পরামর্শ দেন। এতে উভয় পক্ষ রাজি হয়।

কিন্তু সন্ধ্যার সাড়ে সাতটার দিকে হঠাৎ করে জব্বার খানের মেয়ে জামাই ও সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান গোলাম আহাদ সোহাগের মোটরসাইকেল চালক সগীরের নেতৃত্বে চারটি মোটরসাইকেলে ১০/১২ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাবুলের বাড়িতে হামলা চালায়। হামলায় ওই তিনজন আহত হন।

খবর পেয়ে সদর থানার এএসআই ইমরানের নেতৃত্বে ঘটনাস্থল থেকে তাইজুল ও সবুজ নামে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। তারা পৌর শহরের চরকলোনী এলাকার বাসিন্দা। এছাড়া চারটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, হামলায় নেতৃত্ব দেওয়া সগীর সদরের ইউপি চেয়ারম্যানের মোটরসাইকেল চালক হিসেবে পরিচিত। জব্দকৃত মোটরসাইকেলের একটির সামনে ‘চেয়ারম্যান,বরগুনা সদর ইউনিয়ন’ লেখা রয়েছে।

এদিকে এ হামলায় মোটরসাইকেল চালক সগীর জড়িত থাকার বিষয়টি জানা নেই দাবি করে চেয়ারম্যান গোলাম আহাদ সোহাগ মুঠোফোনে বলেন, ‘সগীর আমার মোটরসাইকেল চালক হলেও এ হামলার বিষয়ে আমার জানা নেই। খবর পেয়ে আমি নারী ইউপি সদস্যকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। হাসপাতালে গিয়ে আহতদের চিকিৎসার খোঁজ নিয়েছি।’

সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবির হোসেন মাহমুদ বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে জড়িত সন্দেহে দুজনকে আটক করেছে। জিজ্ঞাসাবাদে দোষী প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


রুদ্র/সনি