বিজিএমইএ’র ডাকে সাড়া না দিয়ে অনেক কারখানা খোলা

সরকার ঘোষিত ১১ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি দিতে পোশাক কারখানার মালিকদের প্রতি বিজিএমইএ’র অনুরোধ উপেক্ষা করে সাভার-আশুলিয়ার অনেক পোশাক কারখানা খোলা রাখা হয়েছে।

আজ রোববার দুপুরে ওই এলাকা ঘুরে পোশাক কারখানা খোলা রাখতে দেখা যায়।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে সরকার ঘোষিত ১১ এপ্রিল পর্যন্ত পোশাক কারখানা বন্ধ রাখতে মালিকদের প্রতি অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ তৈরিপোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারকদের সমিতি (বিজিএমইএ)।

আশুলিয়ার পলাশবাড়ীর স্কাইলাইনের নিটিং, ইপিজেড এলাকার গোল্ড টেক্স, একটর অ্যাপারেলস, গ্লোবাল, শান্তা, সাভার কলমা এলাকায় হট ড্রেস গ্রুপ, সাভারে আল মুসলিম, আলনিমা, ডেনি টেক্স, ঢাকা টেক্সটাইল, সাভার টেক্সটাইল, বিরুলিয়া বউবাজার এলাকার এবিসি বাংলা অ্যাপারেলস লিমিটেড, বিরুলিয়ার মাইন্ড ওয়ান নিট কম্পোজিট লিমিটেড, হেমায়েতপুরের এবি অ্যাপারেলস, জামগড়ার এসএনএস অ্যাপারেলস, জামগড়ার নিটওয়্যার লিমিটেড, ছাফা সুয়েটার, এসকেআরএম ও আশুলিয়ার বারইপাড়ার তানজিলা টেক্সটাইল লিমিটেডসহ অর্ধশত পোশাক কারখানা খোলা রাখতে দেখা যায়।

নিয়মিত কার্যদিবসের মতোই শ্রমিকরা কারখানায় প্রবেশ ও কাজে যোগ দিয়েছেন। তারা সামাজিক দূরত্ব না মেনে গায়ে-গা লাগিয়ে দলে দলে কারখানায় প্রবেশ করেন।

স্থানীয় উইন্টার ড্রেস লিমিটেডের প্রশাসন বিভাগের কর্মকর্তা আজিজুর রহমান বলেন, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা সংস্থান করেই সবাইকে কারখানায় আনা হয়েছে। শ্রমিকদের কারখানায় ভালো রাখার চেষ্টা করছেন তারা।

তিনি বলেন, কাজের বেশির ভাগ ক্রয়াদেশ বাতিল হয়ে গেছে। দু’-একটি ক্রয়াদেশ রয়েছে, যেগুলো জরুরিভাবে সিপমেন্ট দিতে হবে। তাই আজ কারখানা খোলা রেখেছেন। পরবর্তীতে বন্ধের নির্দেশ এলে বন্ধ ঘোষণা করা হবে।

এ বিষয়ে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম মিন্টু বলেন, মালিকরা কারখানা খুলে সঠিক করেননি। যদিও কিছু সংখ্যক কারখানা খোলা রয়েছে। যদি কোনো শ্রমিক করোনা সংক্রমতি হয়, তাহলে সেটি নিয়ন্ত্রণ করা সবার জন্য কঠিন হবে।

কারখানাগুলো বন্ধ করে শ্রমিকদের জীবন রক্ষার অনুরোধ জানান তিনি।

আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক রিজাউল হক দিপু বলেন, প্রশাসন তার কাজ করে যাচ্ছে। কারখানা খোলা রাখার বিষয়টি নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের সিদ্ধান্ত।


সাব্বির/বকুল