ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

মেয়র চলন্ত খাদ্য নিয়ে ছুটে চলেছেন দরিদ্রদের বাড়ি-ঘরে

মোসলেম উদ্দিন, হিলি (দিনাজপুর) সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:২৮, ৬ এপ্রিল ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মেয়র চলন্ত খাদ্য নিয়ে ছুটে চলেছেন দরিদ্রদের বাড়ি-ঘরে

বেলী আপা খাবার নিয়ে আসছি, আমি মেয়র। আজাদ ভাই দরজা খুলুন, মেয়র চলন্ত। রাত-দিন খাদ্যসামগ্রী হাতে নিয়ে ছুটে যাচ্ছেন দরিদ্র মানুষের দ্বারে দ্বারে। কর্মহীন অসহায় মানুষগুলো খাদ্যসামগ্রী পেয়ে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছেন দিনাজপুরের হাকিমপুর (হিলি) পৌর মেয়র জামিল হোসেন চলন্তের প্রতি।

দুই হাতে ১১ থেকে সাড়ে ১১ কেজি ওজনের বস্তা হাতে নিয়ে গ্রাম-গঞ্জে, রাস্তার পাশে আর মহল্লায় মহাল্লায় নিরন্ন মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন খাদ্য।

এলাকার বেলী বেগম রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘দেশে যে রোগ আসছে, তার জন্য সরকার বলেছে, বাড়ির বাহিরে যাওয়া যাবে না। তাই আমার স্বামী ভ্যান নিয়ে বাহির হয়নি। যা জমানো ছিলো, ক'দিনে তা শেষ হয়ে গেছে। ঠিক তখনি আমাদের মেয়র সাহেব বাড়িতে নিজে এসে চাল, ডাল আলু, লবণ দিয়ে গেছে। এখন আর কোন চিন্তা নেই।’

হতদরিদ্র আজাদ রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘করোনা সতর্কতার কারণে বাহিরে গিয়ে কোন কাজ-কাম করতে পারছি না। মেয়র চলন্ত আজ সোমবার (৬ এপ্রিল) ভোর রাতে এসে খাদ্যসামগ্রী দিয়ে গেছে। ছেলে মেয়েদের নিয়ে বড় চিন্তায় ছিলাম। তার সাহায্য পেয়ে বড় শান্তিতে আছি।

এ বিষয়ে হাকিমপুর পৌর মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত রাইজিংবিডিকে জানান, ‘সরকার অসহায়, হতদরিদ্র ও ক্ষুধার্ত মানুষের পাশে সব সময় ছিলো, আজও আছে এবং আগামীতে ও থাকবে। সরকারি বরাদ্দ রয়েছে, অসহায় মানুষদের কোন চিন্তা নেই। করোনাভাইরাসের মোকাবেলা করতে আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। কেউ যাতে অযাথা বাড়ির বাহিরে ঘোরাফেরা না করে, সবাই ঘরে থাকবে। আমি সময় মত সবার খাবার বাড়ি বাড়ি দিয়ে আসব।’

তিনি আরও জানান, ‘এ যাবৎ সরকারিভাবে ৮০০ ও আমি ব্যক্তিগতভাবে ২৫০০, মোট ৩৩০০ জন কর্মহীন ও অসহায় মানুষকে ৭ থেকে ১০ কেজি চাল, ২ কেজি আলু ও ৫'শ গ্রাম লবণ তাদের বাড়িতে বাড়িতে আমি নিজে গিয়ে পৌঁছে দিয়েছি। আমাদের ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত আছে। ’

সমাজের বিত্তবান মানুষদের ক্ষুধার্তদের পাশে দাঁড়াবার আহ্বান জানান তিনি।


হিলি/মোসলেম উদ্দিন/সাজেদ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়