ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

খুলনায় করোনা আতঙ্কের মধ্যে নতুন দুর্ভোগ!

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৪:৪৪, ১৩ এপ্রিল ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
খুলনায় করোনা আতঙ্কের মধ্যে নতুন দুর্ভোগ!

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের আতঙ্কের মধ্যে নতুন দুর্ভোগে পড়েছে খুলনা নগরবাসী। নদী থেকে জোয়ারের পানি উপচে প্রবেশ করেছে রাস্তাঘাট, এমনকি বাসাবাড়িতেও। প্লাবিত হয়েছে শহরের নিম্নাঞ্চল।

যদিও খুলনা সিটি কর্পোরেশন বলছে, শহর পরিচ্ছন্ন করার জন্য গেট খুলে পানি ঢোকানো হচ্ছে। কিন্তু এতে নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দারা দুর্ভোগে পড়েছেন।  

গত কয়েক দিন ধরে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, জোয়ারের সময় রূপসা নদীর পানিতে নগরীর দারোগাপাড়া, গগণবাবু রোড, খান জাহান আলী রোডস্থ খুলনা কলেজিয়েট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ মোড়, রূপসা স্ট্যান্ড রোড, নতুন বাজার চরবস্তি, নতুন বাজার অ্যাপ্রোচ রোডসহ কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এসব এলাকার বাসাবাড়িতে জোয়ারের সময় নদীর পানির চাপে ড্রেনের পানি ঢুকে যাচ্ছে। নষ্ট হচ্ছে গৃহস্থালির মালামাল।

দারোগাপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘‘একে তো করোনার ভয়। সরকারি আদেশে বাড়িতে রয়েছি। তারপর আবার বাড়ির মধ্যে পানি। কোন দিকে ঠেকাবো।’’

রূপসা স্ট্যান্ড রোড এলাকার বাসিন্দা মোসা. রওশনারা বেগম জানান, তাদের বাড়িসহ আশপাশের কয়েকটি বাড়ির মধ্যে পানি ঢুকে গেছে। এখন সব মালামাল খাটের ওপর তুলে রেখেছেন।

গগণবাবু রোড এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী মো. জামসেদ আলী জানান, কয়েক দিন ধরে পানিতে রাস্তা ডুবে যাচ্ছে। পানি বাড়ির মধ্যেও ঢুকে যাচ্ছে। সিটি কর্পোরেশনন যদি এখনই ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে নিচু এলাকার মানুষ বেকায়দায় পড়ে যাবে।

রূপসা এলাকার একজন বাসিন্দা এহতেশামুল হক শাওন ফেসবুকে তার এলাকায় পানি ঢোকার ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘‘চৈত্রে খা খা রোদে পোড়া দুপুর। জলতেষ্টায় বুকের ছাতি ফাটে। এমন শুখনো খটখটে দুপুরে পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে নগর খুলনা। গত ৫ দিন যাবত চলছে এ পরিস্থিতি।’’

ভুক্তভোগী বাসিন্দা এবং কমিউনিস্ট পার্টির নেতা কমরেড শাহাদাৎ হোসেনের অভিযোগ, সাহেবখালী খালের স্লুইস গেটের পাত নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে জোয়ারের আগে গেট বন্ধ করতে না পারায় এমন অবস্থা হচ্ছে।

খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ জানান, ড্রেনের মধ্যে কিছুটা পানি ওঠা-নামা করলে শহর পরিষ্কার থাকবে। কোনো ভাইরাস বা জীবাণু থাকলে পরিষ্কার হবে। মশার আবাসস্থল ধ্বংস হবে। সর্বোপরি শহরটা পরিচ্ছন্ন করার জন্য গেট খুলে স্বল্প পরিসরে পানি ঢোকানো হচ্ছে।

তবে গেটের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তির ভুলের জন্য কিছুটা পানি বেশি আসতে পারে। আগামী দিন থেকে তারা আরও নিয়ন্ত্রণ রেখে কাজ করবেন বলে জানান।



খুলনা/নূরুজ্জামান/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়