ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

জরুরি দপ্তর খণ্ডকালীন খোলার আহ্বান চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতির

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৫৯, ১৭ এপ্রিল ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
জরুরি দপ্তর খণ্ডকালীন খোলার আহ্বান চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতির

চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম বর্তমান পরিস্থিতিতে জরুরি সরকারি দপ্তর খণ্ডকালীন খোলা রাখার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ও মন্ত্রীপরিষদ সচিব এর নিকট আবেদন জানিয়েছেন।

শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) সকালে এক জরুরি পত্রের মাধ্যমে চেম্বার সভাপতি এই আহবান জানান।

জরুরি পত্র পাঠানোর সত্যতা নিশ্চিত করে চেম্বার সভাপতি বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের ব্যবসা বাণিজ্য, শিল্পোৎপাদন, আমদানি-রপ্তানি, বিনিয়োগ তথা প্রাইভেট সেক্টরকে সহায়তা করার লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক গৃহীত ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার প্যাকেজ কার্যক্রমের জন্য আমরা আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।

করোনাভাইরাসের কারণে বর্তমানে সরকারিভাবে সাধারণ ছুটি চলমান রয়েছে। সারা দেশে সবধরণের কর্মকাণ্ড বন্ধ থাকলেও নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য, জরুরি ঔষধ ও কাঁচামাল ইত্যাদি আমদানি ও সারাদেশে সরবরাহ অব্যহত রয়েছে। তবে, এসব পণ্য আমদানি, বন্দর থেকে ছাড়করণ এবং সারাদেশে পরিবহনের ক্ষেত্রে নিম্মলিখিত সরকারি দপ্তর খণ্ডকালীন খোলা রাখা অত্যন্ত জরুরি।

০১) ভোগ্যপণ্য আমদানি ও সরবরাহের ক্ষেত্রে সহায়তার লক্ষ্যে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা প্রয়োজন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়ের, বাংলাদেশ ব্যাংক, আমদানি রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও এনবিআর এর সমন্বয়ে এই টাস্কফোর্স গঠন করা হলে তা নিত্যপ্রয়োজনী ভোগ্যপণ্য সরবরাহ নির্বিঘ্ন রাখার ক্ষেত্রে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করলে তা দেশের এই দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায় অত্যন্ত ফলপ্রসু হবে।

০২) আমদানি, রপ্তানি কার্যক্রম অব্যহত রাখার লক্ষ্যে প্রধান আমদানি-রপ্তানি নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়, ঢাকা এবং চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয় খোলা রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন।যাতে করে সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকরা প্রয়োজনীয় সরকারি অনুমতি পত্র ইত্যাদি সংগ্রহ করতে পারেন এবং কাঙ্ক্ষিত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় কর্মকাণ্ড সম্পন্ন করতে পারেন।

০৩) বাংলাদেশ প্রেট্রোলিয়াম করপোরেশন ও এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান যেমন- পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, ইষ্টার্ন রিফাইনারী, এলপি গ্যাস লিমিটেড ইত্যাদি চালু রাখার মাধ্যমে দেশে জ্বালানি সরবরাহ অব্যহত রাখা জরুরি। যাতে করে প্রয়োজনীয় সেবাসমূহ, গ্যস, বিদ্যুৎ ইত্যাদি উৎপাদন ও বিতরণ ব্যবস্থা সচল রাখা সম্ভব হয়।

০৪) যেহেতু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসমূহ সারা দেশে পরিবহন অব্যহত রয়েছে তাই এসব পরিবহনের রেজিস্ট্রেশন ও প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র নবায়নের জন্য বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অর্থরিটি (বিআরটিএ) খোলা রাখা দরকার।

০৫) প্রয়োজনীয় সেবাদানকারী ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের পরিবেশগত ছাড়পত্র আবশ্যক যা যথাসময়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে নবায়ন করতে হয়। তাই এইসব প্রতিষ্ঠানের পরিবেশগত ছাড়পত্র নবায়নের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তর সীমিত আকারে খোলা রাখা প্রয়োজন।

০৬) বর্তমানে বিভিন্ন সমস্যার ফলে সময়মত ছাড় করতে না পারার কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে অনেক রেফারেল কন্টেইনার আটকে আছে। স্থান সংকুলান না হওয়ায় অনেক জাহাজ রেফারেল কন্টেইনার নিয়ে বন্দরে অতিরিক্ত সময় অবস্থান করতে বাধ্য হচ্ছে। যার ফলে ডেমারেজ চার্জের কারণে সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকের ব্যয় অনেকাংশে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে বন্দরে অবস্থিত রেফারেল কন্টেইনার দ্রুত ছাড়করণের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।’

উপযুক্ত, বিষয়াদি বিবেচনাপূর্বক উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানসমূহ দৈনিক কিছু সময়ের জন্য খোলা রাখার ব্যবস্থার করার মাধ্যমে আমদানিকৃত ভোগ্যপণ্য, ঔষধ ও কাঁচামাল ইত্যাদি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালাস করা ও সারাদেশে পরিবহনের ক্ষেত্রে সহায়তা করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ও মন্ত্রীপরিষদ সচিব’র নিকট বিশেষভাবে অনুরোধ জানান চিটাগাং চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম।

 

চট্টগ্রাম/রেজাউল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়