ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

খাদ্য ও পুষ্টির প্যাকেজ নিয়ে প্রসূতির বাড়িতে ইউএনও

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ২৪ এপ্রিল ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
খাদ্য ও পুষ্টির প্যাকেজ নিয়ে প্রসূতির বাড়িতে ইউএনও

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার মাহামুদপুর ইউনিয়নের গোয়াল গ্রামের নাজমীন বেগম সদ্য মা হয়েছেন। কষ্ট পাচ্ছিলেন প্রসূতি মা ও তার সদ্য জন্ম নেয়া শিশু। 

দরিদ্র কৃষক স্বামী ইমরান এই করোনা পরিস্থিতিতে ঘরবন্দি থাকায় যেখানে দু'মুঠো অন্নের সংস্থানে হিমসিম খাচ্ছেন, সেখানে প্রসূতি মা ও তার সন্তানের জন্য বাড়তি কিছুর জোগান দেয়া অসম্ভব বিষয় উঠেছে। তাই সুখের মধ্যেও একটা অভাবের যাতনা তাড়িয়ে বেড়াচ্ছিল তাদের।

এমনই একটি অবস্থায় উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের এই প্রসূতি মায়ের বাড়ি একটি প্যাকেজ উপহার নিয়ে হাজির হলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাব্বির আহমেদ।

প্যাকেজ ছিল চাল, ডাল, পিঁয়াজ, আলু, হরলিক্স, দুধ, তরমুজ আর হ্যান্ড স্যানিটাইজার। সন্তান জন্মের ১৩ দিনের মাথায় এমন উপহার পেয়ে যেন প্রসূতি মায়ের বুক থেকে নেমে গেল একরাশ কষ্টের বোঝা।

খাদ্য ও পুষ্টি নিয়ে প্রসূতির বাড়িতে হঠাৎ ইউএনও'র উপস্থিতিতে ওই গ্রামের সাধারণ মানুষও হতবাক হয়েছেন।

জানা গেছে, গত ৮ মার্চ পরবর্তী তারিখে যে সকল শিশু জন্মগ্রহণ করেছে সে সকল শিশুর মায়েদের জন্য 'সুহৃদ'-নামের সংগঠনের সহযোগীতায় খাদ্যসামগ্রী চাল, ডাল, পিঁয়াজ, আলু এবং উপজেলা প্রশাসনের অর্থায়নে মায়ের জন্য হরলিক্স, দুধ, তরমুজ ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার উপহার হিসেবে পৌঁছে দেয়ার কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।

গত দুই দিনে কাশিয়ানী উপজেলার সাজাইল, পারুলিয়া, কাশিয়ানী সদর, মহেশপুর, মাহামুদপুর, ওড়াকান্দি ও বেথুড়ী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের ৭০টি নবজাতক পরিবারের কাছে এসব খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিয়েছেন ইউএনও  সাব্বির আহমেদ।

নাজমীন বেগমের বাড়ি এসে খাদ্য সহায়তা দেয়ার পাশাপাশি মা ও শিশুর স্বাস্থ্যেরও খোঁজ খবর নেন তিনি।

এ সময় মেডিকেল অফিসার ডা. আরিফুন নাহার আশা মা ও শিশুদের স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক পরামর্শ প্রদান করেন।

এসব খাদ্য সহায়তা বিতরণকালে কাশিয়ানী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সুব্রত ঠাকুর, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম, সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মশিউর রহমান খান, ওড়াকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান মো. বদরুল আলম বিটুল উপস্থিত ছিলেন।

পরিবার-পরিকল্পনা পরিদর্শক রণজিৎ সরকার রনো বলেন, ‘ইউএনও স্যারের নির্দেশে আমরা নবজাতকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে দুধ, ফল, হরলিক্সসহ খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছি। স্যার নিজেও উপস্থিত থেকে তা তদারকি করছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘এটা কোন ত্রাণ নয়, করোনা মহামারির কথা ভেবে নবজাতক ও প্রসূতি মায়ের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুধুমাত্র পুষ্টি সহায়তা দেয়া হচ্ছে।'

তিনি বলেন, ‘এ বছর ৮ মার্চের পরে যে শিশুর জন্ম হচ্ছে, তাদের বাড়িতে এ জাতীয় খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। দেশের করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এ সহায়তা চলবে।'

সদ্য নবজাতক শিশুর (৮ মার্চের পর থেকে জন্মগ্রহণকৃত) পরিবারের সহযোগীতার প্রয়োজন হলে সরাসরি যোগাযোগ করতে অনুরোধ করেন তিনি।

 

বাদল/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়