খরচার হাওরে জলাবদ্ধতা, বিপাকে কৃষকরা
সুনামগঞ্জের খরচার হাওরে জলাবদ্ধতার কারণে ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় আধা পাকা ধানও কাটতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।
কয়েক দিনের বৃষ্টিতে হাওরের নিচু অংশে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। তবে কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জলাবদ্ধতা দেখা দিলেও কৃষকদের খুব বেশি ক্ষতি হবে না। তারা দু-এক দিনের মধ্যে হাওরের সব ধান কাটতে পারবেন।
কৃষকরা জানিয়েছেন, সুনামগঞ্জ সদর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় অবস্থিত খরচার হাওর। কয়েক দিন ধরে বৃষ্টিপাত হওয়ায় সুনামগঞ্জের সব নদীতে পানি বাড়ছে। এতে খরচার হাওরসহ কয়েকটি হাওরের নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে হাওরের নিচু জমির ধান তলিয়ে যাবে। এ কারণে দ্রুত হাওরের ধান কাটছে কৃষকরা।
এদিকে, আগাম বন্যার আশঙ্কার কথা জানিয়ে মাইকিং করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। দ্রুত সব হাওরের ধান কাটার জন্য কৃষকদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ।
খরচার হাওরের কৃষক এরশাদ মিয়া বলেন, বৃষ্টির পানিতে খরচার হাওরের কিছু অংশের ধান তলিয়ে যাচ্ছে। সেগুলো কৃষকরা কাটছেন। খরচার হাওরে এবছর দ্রুত ধান কাটা হয়েছে। উঁচু জমি ছাড়া হাওরের অধিকাংশ ধান কাটা হয়েছে।
আরেক কৃষক মুজিবুর রহমান বলেন, নদীর পানি বেশি আর হাওরের পানি কম হওয়ায় নিষ্কাশন হচ্ছে না। তাই হাওরের নিচু এলাকায় জমিতে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। আমি এবার খরচার হাওরে ব্রি-২৮ জাতের ধান লাগিয়েছি। অর্ধেক ধান পেকেছে। পাকার আগেই জলাবদ্ধতা দেখা দেওয়ায় ধান কাটছি।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দীপক কুমার দাস বলেন, কয়েক দিনের বৃষ্টিতে খরচার হাওরের নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এতে কৃষকদের খুব বেশি ক্ষতি হবে না। খরচার হাওরের ২ হাজার ৮০০ হেক্টরের মধ্যে ২ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমির ধান কাটা হয়েছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সবিবুর রহমান জানিয়েছেন, ১৭ থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত সুনামগঞ্জে ২১৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে ২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের রেকর্ড করা হয়েছে।
সুনামগঞ্জ/আল আমিন/রফিক
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন