ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

আশুলিয়ার বেশিরভাগ কারখানা খুলেছে

আরিফুল ইসলাম সাব্বির || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:০২, ২৬ এপ্রিল ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
আশুলিয়ার বেশিরভাগ কারখানা খুলেছে

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সরকারি ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করে শিল্পাঞ্চল সাভার ও আশুলিয়ার প্রায় সব পোশাক কারখানা ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

তবে করোনাভাইরাসের ঝুঁকির মধ্যেই রোববার (২৬ এপ্রিল) সাভার ও আশুলিয়ার অধিকাংশ কারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে।

একদিকে সরকারি ছুটির মধ্যে গণপরিবহন বন্ধ, অপরদিকে কারখানা খোলা; তাই বাধ্য হয়ে দুর্ভোগ পাড়ি দিয়ে হেঁটে অনেকে যোগ দিয়েছেন কর্মস্থলে।

সকাল থেকেই সাভারের হেমায়েতপুর ও আশুলিয়ার বাড়ইপাড়া, চারাবাগ, বাইপাইল, জিরানী, নবীনগর, কাঠগড়াসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বড় বড় গ্রুপের পোশাক কারখানা খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কর্মস্থলে যেতে দেখা গেছে শ্রমিকদের।

শ্রমিকরা জানান, গত দুই/তিন দিনে কর্মকর্তারা ফোন করে কারখানা খোলার খবর জানিয়েছেন। তাই তারা কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন।

চারাবাগ এলাকার মাকসুদা এ্যাপারেলসের শ্রমিক বিলকিস বলেন, শনিবার (২৫ এপ্রিল) দিবাগত রাতে সুপারভাইজার ফোন করে বলেছেন- আজ থেকে কারখানা খুলে দেবে। কারখানায় উপস্থিত না থাকলে চাকরি থাকবে না; তাই সকালে উঠেই কারখানায় যাচ্ছেন।

একই কারখানার আরেক শ্রমিক আকলিমা জানান, তিনি ছুটি পেয়ে সিরাজগঞ্জে নিজ বাড়িতে গিয়েছিলেন। পরে কাল রাতে (শুক্রবার দিবাগত রাতে) ফোন পেয়ে সাভারের উদ্দেশে রওনা দেন।

তিনি বলেন, ‘‘ফোন পাওয়ামাত্র বাড়ি থেকে বের হয়েছি। খুব কষ্ট করে এসেছি। রাস্তায় গাড়ি নেই। আমি মহিলা মানুষ; কখনও ট্রাকে, কখনও পিকআপে, অটোরিকশায় করে, আবার কখনো পায়ে হেঁটে প্রায় ১৬ ঘণ্টায় সাভারে এসেছি। চাকরি না থাকলে খেয়ে মরতে হবে; তাই আজ কারখানায় যাচ্ছি।’’

বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাংগঠনিক সম্পাদক খাইরুল মামুন মিন্টু রাইজিংবিডিকে বলেন, কারখানা খুলে দেওয়ার মধ্য দিয়ে শ্রমিকদের করোনাভাইরাসে সংক্রমণের ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেওয়া হলো। গ্রাম থেকে ফেরা অনেক শ্রমিককেই ভাড়া বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলেও আমরা অভিযোগ পাচ্ছি।’’ 

এই সময়ে কারখানা খুলে দেওয়া বিপজ্জনক সিদ্ধান্ত বলেও মনে করছেন এই নেতা।

স্বাধীন বাংলা গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি আল কামরান বলেন, আশুলিয়ায় আজ অনেক কারখানায় খোলা রয়েছে। কারখানার মালিকদের শ্রমিকদের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে এক এলাকায় শ্রমিক যেন অন্য এলাকায় গিয়ে কাজ না করে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

ঢাকা শিল্প পুলিশ-১ এর সহকারী পুলিশ সুপার জানে আলম খান বলেন, সাভার ও আশুলিয়ায় বহু কারখানা খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কারখানায় যথাযথ নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে কিনা, সেই বিষয়ে পুলিশ তদারকি  করছে।  


ঢাকা/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়