ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

চাঁদপুর জেলা কারাগারে ডিপ্লোমা নার্স জরুরি

চাঁদপুর সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:১৫, ২৭ এপ্রিল ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
চাঁদপুর জেলা কারাগারে ডিপ্লোমা নার্স জরুরি

চাঁদপুর জেলা কারাগারে বন্দি রয়েছেন ১৬জন নারী কয়েদি। মহামারি করোনা পরিস্থিতিতে ডিপ্লোমা নার্স না থাকায় বেকায়দায় রয়েছেন কারাগারের এই নারী কয়েদিরা।

জানা যায়, চাঁদপুর জেলা কারাগারে মোট বন্দি রয়েছেন ৭ শ ৪৪ জন কয়েদি। এদের মধ্যে রয়েছেন বিভিন্ন পর্যায়ের ১৬জন নারী কয়েদি।যারা এই করোনা সময়ে ডিপ্লোমা নার্স না থাকায় অনেকটা বেকায়দায় রয়েছেন।

এ ব্যপারে কারাগারের জেল সুপার মো. মাইন উদ্দিন ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘কারাগারে কয়েদিদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে ১জন সহকারী সার্জন ও ১ জন ফার্মাসিস্ট রয়েছে।নারী কয়েদিদের জন্য ১জন ডিপ্লোমা নার্স থাকার কথা থাকলেও ওই পদটি শূন্য রয়েছে। তবে আমরা এই মহামারিতে ওই পদের গুরুত্ব জানিয়ে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের অবহিত করেছি।'

তিনি জানান, সাড়ে ৯ একর জায়গা জুড়ে অবস্থিত এই কারাগারে নারী কয়েদিদের জন্য ৪ কক্ষ বিশিষ্ট ১টি ২তলা ভবন রয়েছে।যার মধ্যে ২ টা সাধারণ ওয়ার্ড ও ৬টা কন্ডেম সেল রয়েছে।প্রতিটি ওয়ার্ডে ৪০-৫০ জন আসামিকে রাখা যায়। প্রতিটি ওয়ার্ডে ৩টি করে টয়লেট রয়েছে।

জরুরী অবস্থা মোকাবেলা প্রসঙ্গে জেল সুপার বলেন, ‘জেলা কারাগারে আমরা ৩ জন করে মোট ৬জন রাখার মতো ২টি আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত রেখেছি। যা দেখভালে ১জন সহকারী সার্জনসহ কারাগারের মোট ৭৯ জনবল কাজ করছে।কারাগারের রান্নাঘর পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার পাশাপাশি খাবার ভালোভাবে সিদ্ধ হওয়ার পর পরিবেশন করা হয়।এছাড়াও কারাগারের ভেতরে বন্দিদের মাঝে করোনা সম্পর্কে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানোসহ নানাবিধ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।'

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জামাল হোসেন জানান, করোনা পরিস্থিতিতে জেলা কারাগার ঝুঁকিমুক্ত রাখতে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।নতুন বন্দিদেরকে কারাগারের ভেতরে ঢোকানোর আগে প্রধান গেটে হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে ভালোভাবে হাতমুখ ধোঁয়ানো হয়। পরীক্ষা করা হয় শরীরের তাপমাত্রা। এভাবে প্রাথমিকভাবে সুস্থতার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর ভেতরে ঢোকানো হয় আসামিদের।

তিনি বলেন, ‘নতুন আসামিদের ক্ষেত্রে আমরা ১৪দিন তাদেরকে আলাদা ওয়ার্ডে রাখি। সেই ওয়ার্ড থেকে পুনরায় অন্য একটি আলাদা ওয়ার্ডে আরো ১৪দিন তাদেরকে রাখি।প্রতিদিন সকাল বিকাল দু'বার পুরো কারাগার এলাকায় জীবাণুনাশক স্প্রে ছিটানো হয়।রেডক্রিসেন্টের পক্ষ থেকেও একবার করে জীবাণুনাশক স্প্রে ছিটানো হচ্ছে।বাইরের দর্শণার্থীদের ভেতরে প্রবেশ সম্পূর্ণ বন্ধ।বিকল্প হিসেবে দিনে ৫ মিনিট আসামিদের ফোনে কথা বলার নির্দেশনা রয়েছে।এখন পর্যন্ত কারাগারে কোন করোনা রোগী পাওয়া যায়নি।আমরা নারী কয়েদিদের জন্য ডিপ্লোমা নার্সের শূন্য পদটি পূরণে যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি।'

 

অমরেশ/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়