ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

থাপ্পড়ের প্রতিশোধ নিতে শিশুকে অপহরণ-হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:১৩, ৩ মে ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
থাপ্পড়ের প্রতিশোধ নিতে শিশুকে অপহরণ-হত্যা

আটককৃত আসামি সাগর

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কোনাবাড়ী এলাকায় থাপ্পড়ের প্রতিশোধ নিতে দুই তরুণ মিলে বাড়ির মালিকের ৫ বছরের শিশু সন্তানকে হত্যা করে। পরে লাশ গুম করে অপহরণের নাটক সাজিয়ে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করে তারা।

র‌্যাব-১ এর সদস্যরা শনিবার (২ মে ) দিবাগত রাতে শিশুর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে এবং অপহরণ ও হত্যায় জড়িত সাগরকে (১৯) আটক করে।  

আজ রোববার (৩ মে) দুপুরে ব্যাব-১ এর গাজীপুরের পোড়াবাড়ী ক্যাম্পে সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ সব তথ্য জানানো হয়।

নিহত শিশু আলিফ হোসেন (৫) কোনাবাড়ীর পরিজাত এলাকার মো.  ফরহাদ হোসেনের ছেলে। আটক সাগর নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের পদিপাড়া গ্রামের রফিক উল্লাহ ছেলে। তিনি ফরহাদ হোসেনের বাড়ির ভাড়াটিয়া ছিলেন এবং পেশায় পোশাককর্মী।

গত ২৯ এপ্রিল বিকেলে শিশু আলিফ নিজ বাসা থেকে নিখোঁজ হয়। এরপর তার বাবা ফরহাদ হোসেন কোনাবাড়ী থানায় জিডি করেন। নিখোঁজের পর দিন ফরহাদের মোবাইলে ফোনে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা আরিফকে অপহরণ করা হয়েছে জানিয়ে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। মুক্তিপণ না পেলে তারা আলিফকে হত্যা করে লাশ গুম করবে বলে হুমকি দেন। পরে শনিবার (২ মে) ভিকটিমের পরিবার র‌্যাব-১ গাজীপুর পোড়াবাড়ী ক্যাম্পে গিয়ে অপহৃত ছেলের মুক্তির জন্য সাহায্য চান।

র‌্যাব জানায়, শনিবার (২ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদে জানতে পারে- ওই অপহরণকারীরা সিটি কর্পোরেশনের পূবাইল এলাকায় মুক্তিপণের টাকা বিকাশের মাধ্যমে নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। পরে কোম্পানী কমান্ডার লে, কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে পূবাইল রেললাইন এলাকা থেকে সাগরকে আটক করে।

সাগরের দেওয়া তথ্যমতে, একটি ঝুটের গুদামের ভিতর থেকে আলিফ হোসেনের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। 

র‌্যাব জানায়, সাগর পোশাক কারখানায় কাজ করেন। তারা তিন বন্ধু মিলে ফরহাদ হোসেনের মালিকানাধীন ভবনে একটি রুম ভাড়া নিয়ে গত ৬ মাস বসবাস করে আসছেন। ওই ভবনের ছাদে উঠে মেয়েদের বিরক্ত করার কারণে এক সপ্তাহ আগে ফরহাদ হোসেন সাগরের রুমমেট জুয়েল আহমেদ ওরফে সবুজকে থাপ্পড় দেন। এই থাপ্পড়ের প্রতিশোধ নিতে ও মুক্তিপণের আশায় সবুজ ও সাগর মিলে আলিফকে হত্যা করে লাশ গুম করেন। পরে অপহরণের নাটক সাজিয়ে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। 

সাগর র‌্যাবকে জানান, পূর্ব পরিকল্পনা অনুসারে সাগর ও জুয়েল সকলের অজান্তে বাসা থেকে আলিফকে ছাদে নিয়ে যান। পরে সেখানে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে ঝুটের গুদামে নিয়ে রাখেন। ওই রাতে তারা ভাড়াবাড়িতে থেকে সকালে ঢাকায় চলে যান এবং বিভিন্ন স্থান থেকে মুক্তিপণ পেতে ফোন করতেন।

** র‍্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ শিশু হত্যাকারী নিহত


গাজীপুর / হাসমত/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়