ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

ঘরে ক্ষুধা বাইরে করোনা আতঙ্ক

আবদুল মালেক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:১৬, ৫ মে ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ঘরে ক্ষুধা বাইরে করোনা আতঙ্ক

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার তেঁতুলিয়া নদীর বেড়িবাঁধে আশ্রয় নেওয়া পরিবারগুলো চরম মানবেতর জীবনযাপন করছে। অভাব তাদের নিত্যসঙ্গী। কিন্তু প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সেই অভাব আরো প্রকট করে তুলেছে। তাদের ঘরে না আছে খাবার, না আছে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধের উপায়। ক্ষুধা-আতঙ্কে উভয় সংকটে তাদের দিন কাটছে। 

বিশেষ করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে জনসমাগম ও চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায়  কাজ হারিয়ে বিপাকে পড়েছেন বেড়িবাঁধের জেলেপল্লীর জেলে ও খেটে খাওয়া মানুষ। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যতটুকু ত্রাণ তারা পেয়েছেন তা পর্যাপ্ত নয়। ফলে পরিবার নিয়ে মহা দুর্যোগে পড়েছে বাঁধের কয়েক হাজার মানুষ।

চরফ্যাশনের নীলকমল, নুরাবাদ ও আহম্মদপুর ইউনিয়নের বেড়িবাঁধে জেলে, মাঝিসহ খেটে খাওয়া দিনমজুরের সংখ্যা বেশি। জেলেরা মাছ ধরতে বাড়ির বাইরে যেতে পারছে না। মাঝি, দিনমজুরদেরও ঘরে বসে অলস সময় কাটাতে হচ্ছে। যে কারণে আয় হচ্ছে না। ঘরে চুলাও জ্বলছে না।

নীলকমল ইউনিয়নের জেলে মো. জুলহাস (৩৭) শাহানুর পাটোয়ারি (৪৪) সালাম (৩৮) জানান, করোনাভাইরাস প্রতিরোধের চেয়ে তাদের কাছে তিনবেলা খাবার খেয়ে জীবন বাঁচানোটাই এখন দায় হয়ে পড়েছে। সাগর, নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে বহুবার ঝড়, তুফানের মুখে তারা পড়েছেন, কিন্তু এমন দুর্যোগ এর আগে তাদের জীবনে আসেনি।

নুরাবাদ ইউনিয়নের দিনমজুর আবু কালাম (৩৮) সেলিম (৪০) ও সিরাজ (৪২) জানান, করোনার কারণে একদিকে তারা জীবন নিয়ে আতঙ্কিত। অন্যদিকে কাজ না করলে পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকাও দায়। সব মিলিয়ে তারা পড়েছেন উভয় সঙ্কটে।

চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন বলেন, বেড়িবাঁধে বসবাসরত মানুষের জন্য বিশেষ কোনো ত্রাণের বরাদ্দ নেই। তবে উপজেলা প্রশাসন ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে সব ইউনিয়নে ত্রাণ বিতরণ করেছে। এবং এটি অব্যাহত থাকবে।


ভোলা/তারা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়