ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ধেয়ে আসছে আম্ফান, আতঙ্কে চর আবদুল্লাহর বাসিন্দারা

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০১:১২, ২০ মে ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
 ধেয়ে আসছে আম্ফান, আতঙ্কে চর আবদুল্লাহর বাসিন্দারা

উপকূলীয় এলাকা ও চরগুলোতে ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষা পেতে মানুষ আশ্রয় নেয় বেড়ি বাঁধ কিংবা আশ্রয়কেন্দ্রে। তবে এর একটিও নেই লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর আবদুল্লাহ ইউনিয়নে। ধেয়ে আসছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। তাই আতঙ্কে আছেন চর আবদুল্লাহর প্রায় ৪১ হাজার মানুষ।

জানা গেছে, মেঘনা নদীর আটটি পৃথক চর নিয়ে গঠিত চর আবদুল্লাহ ইউনিয়ন। এর একটি ওয়ার্ড আছে মূল ভুখণ্ডের সঙ্গে। বাকিগুলো মেঘনা নদীর মাঝখানে। দ্বীপচর গুলো হলো- মধ্য চর আবদুল্লাহ, নতুন চর আবদুল্লাহ, চর গজারিয়া, চর সেভাজ, তেলির চর, সোনার চর, মৌলভীর চর ও চর মুজাম। এখানকার আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের জন্য চেয়ারম্যান বাজারে রয়েছে একটি পুলিশ ক্যাম্প। চরের বেশিরভাগ মানুষই মাছ ধরা, কৃষি কাজ ও গবাদিপশু লালন-পালন করে জীবিকা নির্বাহ করে।

এ ইউনিয়নের কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, এখানে কোনো শক্ত অবকাঠামো নেই। নেই আশ্রয়কেন্দ্র ও বেড়ি বাঁধ। দুর্যোগের সময় মারাত্মক ঝুঁকিতে থাকেন এখানকার বাসিন্দারা। তবে ব্যক্তিগত উদ্যোগে কয়েকটি মাটির কেল্লা করা হয়েছে চরগুলোতে। সেগুলোতে গবাদি পশু রাখা হয়। আম্ফান নিয়ে আতঙ্কে আছেন তারা। 

চর আবদুল্লাহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন মঞ্জুর বলেন, চরের বেশিরভাগই জেলে, কৃষক ও রাখাল। সব সময় তাদের ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের ভয়ে ভীত থাকতে হয়।

এ বিষয়ে রামগতি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল মোমিন বলেন, নদীভাঙনের কারণে চরে আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা যাচ্ছে না। তবে খুব শিগগিই মাটির কেল্লা স্থাপন করা হবে। আসন্ন ঘূর্ণিঝড় আম্ফান থেকে চর আবদুল্লাহর বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসতে আটটি ট্রলার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

 

লক্ষ্মীপুর/ফরহাদ/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়