ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

সুন্দরবন উপকূলে ঝড়ো হাওয়াসহ মুষলধারে বৃষ্টি

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৫:০৮, ২০ মে ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
সুন্দরবন উপকূলে ঝড়ো হাওয়াসহ মুষলধারে বৃষ্টি

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’র প্রভাবে সুন্দরবন সংলগ্ন খুলনা জেলার কয়রা, পাইকগাছা ও দা‌কোপ উপ‌জেলাসহ পাশ্ববর্তী অঞ্চলে মুষলধারে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে।

সেই সঙ্গে বয়ে চ‌লে‌ছে ঝড়ো ও দমকা হাওয়া। স্থানীয় নদ-নদীতে স্বাভা‌বি‌কের চে‌য়ে পানির উচ্চতা ২-৩ ফুট বেড়েছে।

বুধবার (২০ মে) বেলা ১১টার দি‌কে নদী‌তে জোয়ার আসলে এই উচ্চতা আরও বাড়‌বে ব‌লে জা‌নি‌য়ে‌ছেন পা‌নি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকতর্রা।

এদিকে, দা‌কোপ ও কয়রা উপ‌জেলার প্রত‌্যন্ত এলাকার ৬০ হাজার মানুষ আশ্রয় কে‌ন্দ্রে অবস্থান নি‌য়ে‌ছেন।

খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বুধবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

খুলনা জেলা সহকারী আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ রাইজিংবিডিকে জানান, বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত খুলনা অঞ্চলে ২৮ মি‌লি‌মিটার বৃ‌ষ্টিপাত রেকর্ড করা হ‌য়ে‌ছে। এ বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। সকাল ৬টা পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় আম্পান মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩৯০ কিলোমিটার ও পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৪১০ কিলোমিটার দক্ষিণ, দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এজন্য মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে।

এই আবহাওয়াবিদ আরো জানান, বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ সুন্দরবনের কাছ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে এই সুপার সাইক্লোন। ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কেন্দ্রের ৮৫ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের গতিবেগ রয়েছে ২০০ থেকে ২২০ কিলোমিটার।

এদিকে, খুলনার ৯টি উপজেলায় ৬০৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে জরুরি চিকিৎসাসেবায় ১১৬ টি মেডিক্যাল টিমও গঠন করা হয়েছে।
সুন্দরবন উপকূল সংলগ্ন কয়রা উপজেলা সদরের ইউপি চেয়ারম্যান মো. হুমায়ূন কবির জানান, সকাল থেকে বৃষ্টিপাত ও ঝড়ো হাওয়া শুরু হলে স্থানীয় বাসিন্দারা আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে শুরু করে। ইতোমধ্যেই কয়েক হাজার মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে অবস্থান নিয়েছে।

খুলনা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আজিজুল হক জোয়ার্দার জানান, খুলনার ৯টি উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলীয় উপজেলা দাকোপের ১০৮টি, কয়রার ১১৬টি, পাইকগাছার ৪৫টি ও বটিয়াঘাটার ২৩টিসহ ২৯২টি আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে।

খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন জানান, বুধবার সকাল থেকে উপকূলের প্রায় ৬০ হাজার মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়া সম্ভব হয়েছে। উপকূলবাসীকে দ্রুত আশ্রয় কেন্দ্রে আনতে স্বেচ্ছাসেবক কর্মীরা কাজ করছেন।

দুপুরের পর থেকে ঝুঁকিপূর্ণ সকল মানুষকেই আশ্রয় কেন্দ্রে সম্ভব হবে বলেও আশা করছেন তিনি।


খুলনা/নূরুজ্জামান/বুলাকী

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়