চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ করোনা আক্রান্ত উপজেলা সীতাকুণ্ড
চট্টগ্রাম মহানগরীর বাইরে জেলার ১৫টি উপজেলার মধ্যে সর্বোচ্চ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে সীতাকুণ্ড উপজেলায়। এছাড়া জেলার সবচেয়ে বড় উপজেলা ফটিকছড়ি আক্রান্তের দিক থেকে সর্বনিম্ন।
চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে সীতাকুণ্ড উপজেলায় ২৫ মে রাত ১২টা পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে সর্বমোট ৭২ জন এবং ফটিকছড়ি উপজেলায় আক্রান্তের সংখ্যা এখন পর্যন্ত মাত্র ৪ জন। গত এক সপ্তাহে ফটিকছড়ি উপজেলায় নতুন করে কোন করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি।
মঙ্গলবার (২৬ মে) সকালে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন দপ্তর থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে সর্বশেষ প্রাপ্ত পরিসংখ্যানে জানা গেছে, চট্টগ্রাম মহানগরী এবং জেলায় এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৮৮৯ জন। এদের ৮০ শতাংশই চট্টগ্রাম মহানগরী এলাকায়। বাকি ২০ শতাংশ আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে জেলার ১৫টি উপজেলায়।
আক্রান্ত উপজেলাগুলোর মধ্যে সাতকানিয়া উপজেলায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৯ জন, সীতাকুণ্ডে ৭২ জন, হাটহাজারীতে ৫২ জন, মিরসরাইয়ে ৯ জন, ফটিকছড়িতে ৪ জন, আনোয়ারায় ৯ জন, চন্দনাইশে ১৪ জন, পটিয়ায় ৬৭ জন. বাঁশখালীতে ২৯ জন, বোয়ালখালীতে ২০ জন, লোহাগাড়াতে ৪৫ জন, সন্দ্বীপে ১৩ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ৩৪ এবং রাউজান উপজেলায় ১৩ জন।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি জানান, চট্টগ্রামের ৪টি ল্যাবে এখন করোনার নমুনা পরীক্ষা চলছে। এগুলো হলো চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ল্যাব, বিআইটিআইডি হাসপাতাল ল্যাব, ভেটেরেনারী বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাব এবং কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ল্যাব।
চট্টগ্রাম মহানগরী ও জেলায় করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ৫৪ জনের মৃত্যু ঘটেছে। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ১৬২ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ৩১ বছর থেকে ৪০ বছর বয়সী আক্রান্তের হার সবচেয়ে বেশি। মোট আক্রান্তের ২৮ শতাংশর বয়স ৩১ থেকে ৪০ এর মধ্যে। এছাড়া সবচেয়ে কম আক্রান্ত শিশুরা। শূন্য থেকে ১০ বছর বয়সী আক্রান্ত মাত্র ২ শতাংশ এবং ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী আক্রান্তের সংখ্যা ৭ শতাংশ। তা ছাড়া ৬০ বছরের উর্ধ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ৮ শতাংশ।
চট্টগ্রাম/রেজাউল/টিপু
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন