ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

খুলনা বিভাগে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০, মৃত ৮

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৩:১০, ৩০ মে ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
খুলনা বিভাগে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০, মৃত ৮

খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫০০ জনে। এর মধ্যে মারা গেছেন ৮ জন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৯২ জন ও সুস্থ হয়েছেন ১৯৭ জন।

খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তর থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

সর্বশেষ শুক্রবার (২৯ মে) খুলনা মেডিক্যাল কলেজের পিসিআর ল্যাবে শিল্পাঞ্চল পুলিশের এক সদস্যসহ ৬ জনের নতুন করে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছেন খুলনায় ১জন, বাগেরহাটে ৩জন ও ঝিনাইদহে ২জন।

খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) এর উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ জানান, শুক্রবার খুমেকের ল্যাবে ৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে খুলনা জেলার ২৪টি নমুনার ফলাফলে ৬ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। খুলনা শিল্পাঞ্চল পুলিশের ১জন সদস্য (২০) আক্রান্ত হয়েছেন। তাকে খুলনা করোনা হাসপাতালে (ডায়াবেটিক হাসপাতাল) ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে, খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় আক্রান্তে শীর্ষে রয়েছে যশোর ও সর্বনিম্নে মহেরপুর। ইতোমধ্যে খুলনায় ৩ জন, বাগেরহাটে ২ জন, নড়াইলে ১ জন, মেহেরপুরে ১ জন ও চুয়াডাঙ্গায় ১ জন করোনায় মারা গেছেন।

খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তর সূত্র জানায়, শুক্রবার পর্যন্ত খুলনা বিভাগের করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৪৭৬ জন। তবে, রাতে খুমেকের পিসিআর ল্যাবে ৬ জন ও কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে ১৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে বিভাগে মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫০০ জনে।

এদের মধ্যে রয়েছেন খুলনা জেলায় ৭৬, বাগেরহাটে ২৮, সাতক্ষীরায় ৪০, যশোরে ১০০, ঝিনাইদহে ৫০, মাগুরায় ২১, নড়াইলে ২২, কুষ্টিয়ায় ৬৫, চুয়াডাঙ্গায় ৮৬ এবং মেহেরপুর জেলায় ১৩জন।

এদিকে, গত ১০ মার্চ থেকে খুলনা বিভাগের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল ৩৬ হাজার ৫৮ জনকে। এর মধ্যে কোয়ারেন্টাইনের মেয়াদ পার হওয়ার পর ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে ২৯ হাজার ৭৮৮ জনকে।

খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. রাশেদা সুলতানা জানান, খুলনা বিভাগের ১০ জেলার মানুষের করোনা পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পিসিআর ল্যাব রয়েছে।  আক্রান্তদের উপসর্গের মাত্রা বেশি না থাকলে তাদেরকে বাড়িতে চিকিৎসা করা হচ্ছে। আর উপসর্গ বেশি হলে হাসপাতালে এনে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

 

খুলনা/নূরুজ্জামান/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়