পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনতাই মামলায় গ্রেপ্তার ২৬

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনতাই মামলার ২৬ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার (১ জুন) সকালে অভিযান চালিয়ে খান্দাপাড়া ও বহুগ্রাম ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থান থেকে এদের গ্রেপ্তার করা হয়।

মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির্জা আবুল কালাম আজাদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।

গ্রেপ্তাররা হলেন—  শাহানাজ মুন্সী, বাসু মুন্সী, হাসু মুন্সী, কানন মুন্সী, বাবুল মুন্সী, রাসেল মুন্সী, তুষার মুন্সী, লিমন মুন্সী, আলহাজ মুন্সী, মামুন মুন্সী, মাহাবুব মুন্সী, জাসু মুন্সী, ফয়জুর কারিগর, খায়ের কাজী, আজম আলি খন্দকার, হানিফ কাজী, মামুন খন্দকার, রাজিব খন্দকার, সাদ্দাম কাজী, ফরহাদ খন্দকার, রাসেল খন্দকার, রসুল খন্দকার, হাবিল খন্দকার, মোস্তফা খন্দকার, সাকিব খন্দকার এবং মাসুদ কাজী।

মুকসুদপুর থানার উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শওকত হোসেন জানান, আসামিরা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে অপর আসামিদের ছিনিয়ে নেন। ঘটনার পর থেকে আসামিরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে ছিলেন। তাদের সন্ধান পেয়ে অভিযান চালিয়ে ২৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি আরো জানান, এর আগে ২১ মে বৃহস্পতিবার পুলিশের নিয়মিত অভিযানে বহুগ্রাম ইউনিয়নের বলনারায়ণ বাজার থেকে ওই মামলার এজহারভুক্ত আসামি শাওন মুন্সীকে (২৫) গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া, হাতকড়া নিয়ে পালিয়ে থাকা আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অতিশীগ্রই তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।

ওসি মির্জা আবুল কালাম আজাদ জানান, গ্রেপ্তার আসামিদের গোপালগঞ্জ জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অন‌্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ৯ মে শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার খান্দারপাড় ইউনিয়নের বেজড়া-ভাটরা গ্রামের মুকসুদপুর-রাজপাট বাইপাস সড়কের মোড়ে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে ৩ আসামিকে ছিনিয়ে নিয়েছিলো আসামির পক্ষের লোকজন। ছিনতাইয়ের সময় হামলায় ৭ পুলিশ সদস্য আহত হন। এ ঘটনায় খান্দারপাড় ইউপি চেয়ারম্যান সাব্বির খানকে প্রধান আসামি করে ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরো ২৭৮ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন পুলিশের উপ-পরিদর্শক হায়াতুর রহমান।


বাদল/বুলাকী