ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

বরিশালে ইমামকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৩৩, ৪ জুন ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
বরিশালে ইমামকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১

বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার দড়িরচর খাজুরিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক ও মসজিদের ইমামকে জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বুধবার (৩ জুন) দড়িচর খাজুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ইমামকে লাঞ্ছিত করার ঘটনা ঘটে। বুধবার রাতেই ভুক্তভোগী ইমাম ইউপি চেয়ারম্যানসহ দুজনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেন।

এই ঘটনায় বজলু আকন নামের এক ব‌্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৪ জুন) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেহেন্দীগঞ্জ থানার ওসি আবিদুর রহমান। তিনি জানান, মামলা দায়েরের পর থেকে দড়িরচর খাজুরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তফা রাঢ়ী আত্মগোপনে আছেন।

সহকারী পুলিশ সুপার (মেহেন্দিগঞ্জ সার্কেল) শুকুমার রায় বলেন, ‘ইমামকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় বজলু আকন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে তার কার্যালয়ে সালিশ বসানো হয়। এ সময়  ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম, ইউপি সদস্য মো. ফিরোজ, ইউনুফ বয়াতী, আবুল বয়াতী, বজলু আকন, মো. কামরুজ্জমান, রিন্টু দেওয়ানসহ বেশ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় মাদরাসা শিক্ষককে জুতার মালা পরিয়ে ঘোরানো হয়। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।

মাদরাসার সুপার আনিসুর রহমান বলেন, ‘শুনেছি চেয়ারম্যান মোস্তফা রাঢ়ীর নির্দেশে শিক্ষককে জুতার মালা পরিয়ে স্টিমারঘাট বাজারে ঘোরানো হয়েছে। এটা উচিত হয়নি। তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে তারা মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারতেন। এই ঘটনায় মাদ্রাসার শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটি বৃহস্পতিবার সকালে একটি জরুরি মিটিং করেছেন। মিটিংয়ে ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।'

মাদ্রাসার একাধিক শিক্ষক জানান, ২০১৯ সালে উপবৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মোবাইল হিসাব নম্বর পাঠানো হয়। তালিকা পাঠানোর সময় ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী মাদ্রাসায় না আসায় সেখানে ওই শিক্ষক তার মোবাইল নম্বর দিয়ে দেন। সম্প্রতি ওই ছাত্রীর এক বছরের উপবৃত্তির এক হাজার ৮০০ টাকা ওই মোবাইল নম্বরে জমা হয়। বিষয়টি তিনি ওই ছাত্রীর অভিভাবককে জানাতে ভুলে যান।

পরে এ ঘটনা জানাজানি হলে ওই ছাত্রীর মামা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি, সাবেক ইউপি সদস্য আ. ছাত্তার সিকদার ও বাবা কবির হোসেন ৩০ মে মাদ্রাসায় গিয়ে তার মোবাইলের সিমটি নিয়ে যান।

আর বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জানতে পেরে সালিশের নির্দেশ দেন।

 

জে. খান স্বপন/সনি/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়