ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

বিলীন হয়ে গেলো দক্ষিণ গাবুড়া

পীরগাছা (রংপুর) সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:২৫, ২৪ জুন ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
বিলীন হয়ে গেলো দক্ষিণ গাবুড়া

তিস্তার ভাঙনে বিলীন হয়ে গেলো রংপুরের পীরগাছার ছাওলা ইউনিয়নের দক্ষিণ গাবুড়া গ্রামটি।

বুধবার (২৪ জুন) দুপুরে ওই গ্রামের শেষ বাড়িটিও নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। গত সাতদিন ধরে অব্যাহত ভাঙনের কবলে পড়ে ওই গ্রামের প্রায় শতাধিক পরিবারের বসত বাড়ি ও আবাদি জমি নদী গর্ভে বিলীন গেছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। তবে কোথাও ভাঙনরোধে কোনো ব্যবস্থা চোখে পড়েনি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ গাবুড়া (মাঠের হাট) গ্রামটিতে গ্রামে প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবারের বসতি ছিল। গ্রামটি তিন বছর আগে প্রথমবার ভাঙনের কবলে পড়ে।

এ গ্রামটির আগে আরও চারটি গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ছাওলা ইউনিয়নের শিবদেব চর, আমিন পাড়া, বৈরাগীপাড়াসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের পাকা মসজিদ ও প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অসংখ্য স্থাপনাও নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। শত শত একর আবাদি জমি চলে গেছে নদী গর্ভে। বাড়িঘর হারিয়ে ভাঙনের শিকার ব্যক্তিরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। গরু-ছাগল নিয়ে বসবাসের জন্য একটু ঠাঁই খুঁজতে তারা এদিক-ওদিক ছুটে বেড়াচ্ছেন। অনেকেরই খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিনের ভাঙন প্রতিরোধে কার্যকরী কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ফলে প্রতিবছর তিস্তার ভাঙনের কবলে পড়ছে গ্রামগুলো।

দক্ষিণ গাবুড়া গ্রামের আজিম উদ্দিন জানান, প্রায় এক মাস ধরে নদীভাঙন অব্যাহত রয়েছে। নদী সবকিছু কেড়ে নিয়ে তাদের সর্বস্বান্ত করে দিয়েছে। গৃহহারা হয়েছে কয়েকশ’ পরিবার।

সালেহা বেগম বলেন, ‘কোথায় যাব কিছুই বুঝতে পারছি না। এখন আমরা নিঃস্ব। প্রতি বছরই নদী ভাঙছে, তারপরও ভাঙনরোধে সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। বাধ্য হয়ে নদীর মাঝে জেগে ওঠা চরে আবারও বসতি গড়ছি। আমরা জানি আবারও নিশ্চিত ভাঙনের কবলে পড়বো।’

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ বলেন, ‘দক্ষিণ গাবুড়া গ্রামে ৪০টি পরিবার ভাঙনের শিকার হয়েছে বলে আমরা তথ্য পেয়েছি। পরিবারগুলোকে দ্রুত সহযোগিতা করা হবে।’

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদি হাসান বলেন, ‘দক্ষিণ গাবুড়া গ্রাম নদী ভাঙন কবলিত এলাকা। বরাদ্দ না থাকায় ভাঙন রোধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়নি। তবে ওই এলাকায় ভাঙন রোধে বরাদ্দের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

 

জুয়েল/সনি

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়