‘বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবির ঘটনায় দায়ীদের শাস্তি হবে’

নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চ ডুবির ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দায়ীদের আইনের আওতায় কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।’

এই ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে বলে উল্লেখ করে নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই কমিটি প্রতিবেদন জমা দিবে। একই অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য নতুন উদ্ধারকারী জাহাজ এবং হেলিকপ্টার কেনার পরিকল্পনা রয়েছে বলে নৌ মন্ত্রী উল্লেখ করেন।’

বুধবার (১ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য বন্দর এলাকায় ৬০ শয্যার বিশেষায়িত করোনা ইউনিট ও নতুন হাসপাতাল ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সমগ্র বিশ্বের সেরা বন্দরসমূহের মধ্যে ১০০ কনটেইনার হ্যান্ডলিংকারী বন্দরের তালিকায় ৬৪তম অবস্থানে এসেছে চট্টগ্রাম বন্দর। আমরা চাই ৩০-৫০ তম অবস্থানের মধ্যে চলে আসতে।’

বন্দর সংশ্লিষ্টদের সাহসী পদক্ষেপের কারণে করোনা পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম বন্দরের অপারেশন কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিলো। একমুহূর্তের জন্যও বন্ধ হয়নি বলে উল্লেখ করেন নৌ প্রতিমন্ত্রী।

করোনার সংক্রমণে উন্নত দেশেও স্বাস্থ্যসেবা থমকে গেছে উল্লেখ করে নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের সাহসিকতা ও সরকারের সাহসী ব্যবস্থাপনা ছিলো। করোনা পরীক্ষার জন্য একটি ল্যাব দিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছিলো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিস্ময়কর নেতৃত্বে এই সংকট মোকাবিলা করছেন দেশের মানুষ। কোভিড-১৯ আমাদের অর্থনীতিতে যে ধাক্কা দিয়েছে তা কাটিয়ে আমাদেরকে নতুন করে এগিয়ে যেতে হবে।’

চট্টগ্রাম বন্দরকে বাংলাদেশের লাইফ লাইন উল্লেখ করে নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘চট্টগ্রামের মানুষের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা আছে। কোভিড-১৯ চিকিৎসায়ও সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে চট্টগ্রামবাসীর পাশে থাকবে চট্টগ্রাম বন্দর।’

অনুষ্ঠানে নৌ-প্রতিমন্ত্রী বন্দরের নতুন হাসপাতাল ভবনের নাম ফলক উন্মোচন করেন এবং মুনাজাত করেন। পরে হাসপাতালের করোনা ইউনিট ঘুরে দেখেন এবং একটি গাছের চারা রোপণ করেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম আবুল কালাম আজাদ, বন্দরের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম, পরিচালক (পরিবহন) এনামুল করিম, বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ঊধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নতুন উদ্বোধন হওয়া হাসপাতাল ও করোনা ইউনিট প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান জানান, এই হাসপাতালে ৫০ শয্যার করোনা ইউনিটে ১৩ চিকিৎসক, ৩৬ নার্সসহ ১৫৯ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বন্দরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিলে শহরের অন্যান্য হাসপাতালে রোগীর চাপ কমবে বলেও মন্তব্য করেন বন্দর চেয়ারম্যান।

 

চট্টগ্রাম/রেজাউল/বুলাকী