ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

কমছে ব্রহ্মপুত্রের পানি, বাড়ছে ধরলার: দুর্ভোগে বানভাসীরা

কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:২৯, ৪ জুলাই ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
কমছে ব্রহ্মপুত্রের পানি, বাড়ছে ধরলার: দুর্ভোগে বানভাসীরা

কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্রের পানি ধীরগতিতে কমতে শুরু করলেও আবার বেড়েছে ধরলার পানি।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম জানান, শনিবার বিকেল ৩টায় ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫৮ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার এবং নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ২/৩ দিন পানি হ্রাস অব্যাহত থাকবে এবং এর পর থেকে আবার ব্রহ্মপুত্র,ধরলা ও তিস্তার পানি বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এদিকে গত ১১ দিন ধরে এই দুই নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের লক্ষাধিক বানভাসী মানুষের। কোন কোন পরিবারের ঘর-বাড়ি থেকে পানি নেমে গেলেও বেশিরভাগ পরিবারে এখনো পানি নেমে যায়নি। এ অবস্থায় হাতে কাজ ও ঘরে খাবার না থাকায় খাদ্য সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে বন্যা কবলিত হতদরিদ্র পরিবারগুলোর।

বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে শিশু ও গবাদি পশুর খাদ্য সংকট নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বানভাসী মানুষজন।

উলিপুর উপজেলার বেগমগন্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. বেলাল হোসেন জানান, আমার ইউনিয়নের ৩ হাজার পরিবার বন্যা কবলিত। এখনও এই পরিবারগুলোর ঘর-বাড়ি থেকে পানি নেমে যায়নি। করোনা আর বন্যায় এই পরিবারগুলো খাদ্য সংকটে পড়েছে। আমি সরকারিভাবে মাত্র ৩০০ প্যাকেট খাদ্য সহায়তা পেয়েছি, যা মাত্র ৩০০ পরিবারকে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। জরুরিভিত্তিতে বন্যা দুর্গত এলাকায় শিশু ও গবাদি পশুর খাদ্য বিতরণ করা প্রয়োজন বলে জানান তিনি।

কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মো. হাবিবুর রহমান জানান, জেলার বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের স্বাস্থ্য সেবা দিতে ২৭টি মেডিক‌্যাল টিম কাজ করছে। পাশাপাশি পানি বাড়া-কমার সঙ্গে সঙ্গে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা ও দুধকুমারের বেশ কিছু এলাকায় দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। ভাঙনের শিকার পরিবারগুলোর বাসস্থানের পাশাপাশি দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকটও।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. রেজাউল করিম জানান, বন্যা কবলিত মানুষের মাঝে ৩০২ মেট্রিক টন চাল ও ৩৬ লাখ ৬৮ হাজার টাকার শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। নতুন করে ২০০ মেট্রিক টন চাল, ২ লাখ টাকা ও ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এগুলোও বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। দু-একদিনের মধ্যে বন্যা কবলিত এলাকার শিশু ও গবাদি পশুর খাবারের বরাদ্দ পাওয়া যাবে। পাওয়া মাত্রই তা বিতরণ করা হবে।


কুড়িগ্রাম/বাদশাহ্ সৈকত/সাজেদ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়