মুক্তি পেলেন নিরাপরাধ সালাম ঢালী: এসআইকে তলব

অবশেষে মুক্তি পেয়েছেন বিনা অপরাধে জেলে থাকা খুলনার সেই সালাম ঢালী।

সোমবার (৬ জুলাই) বিকেলে বাগেরহাটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (ভার্চুয়াল) আদালত-৩ এর বিচারক তন্ময় গাইনের দেওয়া এক আদেশে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

মুক্তির আদেশের পাশাপাশি সোনাডাঙ্গা থানার এস আই সঞ্জিত কুমার মন্ডলকে নিয়মিত আদালত চালু হওয়ার সাত কার্যদিবসের মধ্যে স্বশরীরে আদালতে হাজির হয়ে কেন মো. সালাম ঢালীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তার কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (ভার্চুয়াল) আদালত-৩ এর বিচারক তন্ময় গাইন।

বাগেরহাট কোর্ট ইনস্পেক্টর দিলীপ কুমার সরকার বলেন, ‘সালাম ঢালীকে আদালত মুক্তির আদেশ দিয়েছেন। সেই সাথে এস আই সঞ্জিত কুমার মন্ডলকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে স্বশরীরে আদালতে হাজির হয়ে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন।’

খুলনার সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক জানান, একটি চুরি মামলায় দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে ভুলক্রমে নগরীর শেরে বাংলা রোডের মফিজ উদ্দিন ঢালীর ছেলে মো. সালাম ঢালীকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রকৃত আসামি হলো- খুলনার শেখপাড়া মেইন রোডের মৃত শফিজ উদ্দিনের ছেলে মো. আবদুস সালাম।

তিনি আরও জানান, গত বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) সোনাডাঙ্গা থানার এস আই সঞ্জিত কুমার মন্ডল বাগেরহাটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ভুল করে নিরপরাধ ব্যক্তিকে আটকের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এছাড়া নিরপরাধ সালামকে মুক্তিদান ও আসল অপরাধী সালামকে আটকের জন্য পুনরায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করার জন্য আবেদন করেন। গত প্রায় ৪ মাস ধরে সালাম ঢালী বাগেরহাট কারাগারে ছিলেন।

ইলেকট্রনিক সামগ্রি চুরির ঘটনায় বাগেরহাটের মোংলা থানায় মামলা হয়েছিল ২০০৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর। ওই মামলার রায় ঘোষণা হয়েছিল ২০০৯ সালের ৩০ জুলাই।

বাগেরহাট কারাগারের জেলার এসএম মহিউদ্দিন হায়দার বলেন, ‘আমরা আদালতের নির্দেশনা (বেলবন্ড) পেয়ে সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে সালাম ঢালীকে মুক্তি দিয়েছি।’

 

 

টুটুল/সনি