ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

হামলায় আহত সাংবাদিক শরীফুলকে ঢাকায় আনা হচ্ছে

কুমিল্লা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:১২, ৬ জুলাই ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
হামলায় আহত সাংবাদিক শরীফুলকে ঢাকায় আনা হচ্ছে

কুমিল্লায় ইউপি চেয়ারম্যান ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর নির্যাতনে গুরুতর আহত সাংবাদিক শরিফ আলম চৌধুরীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার শারীরিক অবস্থা অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকায় পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কুমিল্লা মেডিক‌্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

গতকালই শরিফুলকে সার্জারি ওয়ার্ড থেকে অর্থপেডিক ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়েছিল। শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক বিধায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে।’

সোমবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা মেডিক‌্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুজিবুর রহমান জানান, শরিফ আলম চৌধুরীর অবস্থা শঙ্কামুক্ত নয়। তার শরীরে ক্ষত ও আঘাত রয়েছে, হাত পায়ের বিভিন্ন অংশে হাড় ভেঙে গেছে। এ অবস্থায় তাকে কুমিল্লায় চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করা কঠিন। তাই এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসদের সমন্বয়ে একটি বোর্ড গঠন করা হয়। বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী শরীফুলকে ঢাকায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার সকালে তাকে ঢাকায় পাঠানো হবে।

এদিকে মুরাদনগর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল আলম চৌধুরী ও তাঁর পরিবারের ওপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় সাংবাদিকরা।

সোমবার দুপুরে মুরাদনগর উপজেলা পরিষদের সামনে অনুষ্ঠিত হয় এ মানববন্ধন। এতে বক্তব্য রাখেন প্রবীণ সাংবাদিক দৈনিক কালের কন্ঠের দেবিদ্বার প্রতিনিধি এবিএম আতিকুর রহমান বাশার, দৈনিক মানব জমিনের প্রতিনিধি আবুল কালাম আজাদ, দৈনিক আমাদের সময়ের মুরাদনগর উপজেলা প্রতিনিধি হাবিবুর রহমান, দৈনিক কালের কন্ঠের প্রতিনিধি আজিজুর রহমান রনি ও দৈনিক মানবকন্ঠের প্রতিনিধি মাহবুব আলম আরিফ প্রমুখ।

এছাড়াও বাঙ্গরাবাজার প্রেসক্লাবের সদস্যদের পাশাপাশি বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা মানববন্ধনে অংশ নেন।

শরিফুলের বাবা মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন চৌধুরী এ ঘটনায় মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুর আলমের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তোলেন।

হাসপাতালে শরিফুলের বাবা মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন চৌধুরী এ ঘটনায় মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুর আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বলেন, ‘মুরাদনগর থানার ওসি আসামি গ্রেপ্তারে সহযোগিতা করেননি। তিনি চেয়ারম্যান শাহজাহান মিয়াকে কৌশলে সহযোগিতা করেছেন। শরিফুলের বক্তব্য শোনার পরও ওসি চেয়ারম্যানকে দায়সারাভাবে আদালতে চালান করেন। যার ফলে সহজেই জামিন পেয়ে যান চেয়ারম্যান।’

এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মঞ্জুর আলম জানান, ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করেছে। আদালতে পাঠিয়েছে। জামিন দেওয়া না দেওয়ার বিষয় আদালতের বিবেচনাধীন।

 

 

ইমরুল/সাজেদ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়