বান্দরবানে ৬ খুনের ঘটনার মামলা দায়ের

বান্দরবানের সদর উপজেলার বাগমারা এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে ছয়জনের নিহতের ঘটনায় সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বুধবার রাত ৮টায় সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছে জেএসএস এমএ লারমা গ্রুপের বান্দরবান জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক উবামং মারমা। ১০ জনের নাম দিয়ে এবং ১০ জন অজ্ঞাত পরিচয় হিসেবে উল্লেখ করে ২০ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা হয়।

এদিকে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বান্দরবান সদর হাসপাতালে নিহত ছয়জনের ময়নাতদন্ত শেষ হলে নিহত জেএসএস এমএন লারমা গ্রুপের বান্দরবান জেলা সমন্বয়ক রতন তংচঙ্গ্যার (৫০) লাশ তার ছেলের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ।

অন্যদিকে সন্ধ্যা ৭টার পর সংগঠনটির খাগড়াছড়ি উপদেষ্টা কমিটির সদস্য চিং থোয়াইঅং মারমা ডেভিড (৫৬), পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব সমিতির খাগড়াছড়ির সদস্য রবীন্দ্র চাকমা ওরফে মিলন (৫০), পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব সমিতির খাগড়াছড়ির সদস্য রিপন ত্রিপুরা জয় (৩৫) ও পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব সমিতির খাগড়াছড়ির সদস্য জ্ঞান ত্রিপুরা ওরফে দিপেনের (৩২) লাশ সংগঠনটির নেতা উবামং মার্মার কাছে হস্তান্তর করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,গত মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে জেলার সদর উপজেলার বাগমারা এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে রতন তংচঙ্গ্যার বাসায় রতনসহ জেএসএস এমএ লারমা গ্রুপের ছয় সদস্য নিহত হন। এসময় নিরু চাকমা, বিদ্যুৎ ত্রিপুরা, মিজ পুরু বা চিং আহত হলে তাদের চট্টগ্রাম মেডিক‌্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। নিহত এবং আহত  দুজন গত ৩১ মে থেকেই সেই বাসায় অবস্থান করছিলেন।

স্থানীয়রা জানান,পাহাড়ের আঞ্চলিক রাজনৈতিক সংগঠন পার্বত্য জনসংহতি সমিতি (সন্তু লারমা গ্রুপ),জনসংহতি সমিতি (এমএন লারমা গ্রুপ) ও মগ লিবারেশন পার্টির (এমএলপি) ও ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) চতুর্মুখী বিরোধের জেরে জেলায় এই হত্যাকাণ্ড ও অপহরণের ঘটনা ঘটছে। আর এর শেষ কোথায়,সেই প্রশ্ন এখন স্থানীয়দের মুখে মুখে।

বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম বলেন, ছয় হত্যাকান্ডের ঘটনায় বাদী হয়ে সংগঠনের বান্দরবান জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক উবামং মারমা মামলা দায়ের করেছে।

 

এস বাসু দাশ/সাজেদ