খুলনায় করোনা চিকিৎসায় বাণিজ্য রোধে নির্দেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা || রাইজিংবিডি.কম
কোভিড-১৯ চিকিৎসা নিয়ে খুলনায় যেনো বাণিজ্য না হয় এবং বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলো যেন করোনা চিকিৎসা নিয়ে প্রতারণার সুযোগ না পায় সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মো. কামাল হোসেন।
শনিবার (১১ জুলাই) দুপুরে খুলনার জেলা প্রশাসনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির সভায় একথা বলেন তিনি। সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন সভাপতিত্ব করেন।
সেসময় সচিব বলেন, ‘বেসরকারি হাসপাতালগুলোর লাইসেন্স নবায়নসহ সরকারি নিয়ম নীতি অনুসরণ করছে কি না তা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে। সব দপ্তরের সমন্বয়ে সম্মিলিতভাবে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ অব্যাহত রাখলে খুলনায় সংক্রমণের হার কমে আসবে।’
সভায় জনসাধারণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করতে প্রচারের পাশাপাশি আইনের প্রয়োগ ঘটানো, সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের করোনাভাইরাস পরীক্ষা করাতে দপ্তর প্রধানের প্রত্যয়পত্র, ঈদ-উল-আযহায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মস্থল ত্যাগ না করা, আমদানি হলেই খুলনায় আরও একটি করোনাভাইরাস পরীক্ষার পিসিআর মেশিন;
কোভিড হাসপাতালে হাইফ্লোন্যাজাল ক্যানোলা সরবরাহ করা, প্রয়োজন হলে খুলনা স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালকের দপ্তর বিভাগের অন্য জেলা-উপজেলা হতে চিকিৎসক ও নার্সদের কোভিড হাসপাতালে পদায়নের ব্যবস্থাকরণ এবং আগ্রাধিকার ভিত্তিতে বেশি অসুস্থ রোগীদের দ্রুত করোনাভাইরাস পরীক্ষার রিপোর্ট প্রদান করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন জানান, করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরু থেকে এপর্যন্ত শুধু স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘণের দায়ে এক হাজার ৫১২ জনকে ১৯ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ জানান, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ১৭ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ড এবং রূপসার আইচগাতি ইউনিয়নে লকডাউনের ফলে গত দুই সপ্তাহে ঐ দুটি এলাকায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ অনেকাংশে কমে এসেছে। যে কারণে উল্লিখিত এলাকাগুলোকে ‘রেড’ জোন থেকে ‘ইয়োলো’ জোনে নামিয়ে আনা হচ্ছে।
সভায় অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) হোসেন আলী খোন্দকার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসালম, পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ, খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুন্সী মো. রেজা সেকেন্দার, খুলনা মেডিক্যাল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ, খুলনা স্বাস্থ্য বিভাগের উপপরিচালক ডা. শামীম আরা নাজনীন, খুলনার সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ, খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য অফিসার মো. জাভেদ ইকবাল, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জিয়াউর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) গোলাম মাঈনউদ্দিন হাসান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইউসুপ আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মুহাম্মদ নূরুজ্জামান/সনি
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন
