কক্সবাজারে গুলিবিদ্ধ হয়ে ‘মাদক পাচারকারী’ নিহত

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। বিজিবি জানিয়েছে, ইয়াবা পাচারকালে বিজিবির সঙ্গে গুলিবিনিময়কালে গুলিবিদ্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (১২ জুলাই) ভোরে টেকনাফ স্থলবন্দর সংলগ্ন কেয়ারী খাল এলাকায় গুলি-পাল্টাগুলির ঘটনা ঘটে বলে জানান বিজিবির ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান।

তিনি জানান, নিহত মো. সৈয়দ আলম (৩৫) মূলত মিয়ানমারের নাগরিক। তিনি ১০ বছর আগে সৌদি আরব হতে বাংলাদেশে প্রবেশ করে টেকনাফ পৌরসভার নেট্যংপাড়াতে বসবাস করছিলেন। তিনি মাদক পাচারে জড়িত। 

অভিযানের বিষয়ে বিজিবির এই কর্মকর্তা বলেন, মিয়ানমার হতে ইয়াবার বড় চালান দেশে প্রবেশ করছে- এমন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবির টহল দল রাতে নাফ নদী সংলগ্ন কেয়ারী এলাকায় অবস্থান নেয়। পরে দুই ব্যক্তিকে খালের পাড়ে ঘুরাঘুরি করতে দেখা যায়। এর কিছুক্ষণ পর এক ব্যক্তি মিয়ানমার হতে নাফ নদী পার হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। তখন বিজিবির সদস্যরা তাদের চ্যালেঞ্জ করলে তারা অতর্কিত গুলি করতে শুরু করে। এতে বিজিবির দুই সদস্য আহত হয়। পরে বিজিবির সদস্যরাও পাল্টা গুলি করে। উভয়পক্ষের মধ্যে চার মিনিট গুলিবিনিময় হয়। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন মানুষ কৌতূহলবশত এগিয়ে এলে তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে বিজিবির সদস্যরা গুলি করা বন্ধ করতে বাধ্য হয়। এই সুযোগে ইয়াবা পাচারকারীরা পালিয়ে যায়।

তিনি জানান, টহল দলের সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে একজন ইয়াবা পাচারকারীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু কক্সবাজার সদর হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে।

তিনি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ৪০ হাজার পিস ইয়াবা, একট দেশীয় তৈরি বন্দুক ও একটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। আহত বিজিবি সদস্যরা টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।

রুবেল/বকুল