সিরাজগঞ্জে দ্বিতীয় দফায় ফুঁসে উঠেছে যমুনা
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
দ্বিতীয় দফায় যমুনায় পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আবারও প্লাবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চল। তলিয়ে যাচ্ছে চরাঞ্চলের ফসলি জমি। নিম্নাঞ্চলের বাড়িঘরেও পানি উঠতে শুরু করেছে।
ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে যমুনা নদীর পানি গত ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ১৩.৩৫ মিটার বেড়ে বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ও কাজিপুর পয়েন্টে ১৫.২৫ মিটার বেড়ে বিপৎসীমার ২৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গত ১২ দিনের ব্যবধানে সিরাজগঞ্জ ও কাজিপুর পয়েন্টে দ্বিতীয় বারের মত পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সোমবার (১৩ জুলাই) সকালে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে যমুনার পানি ১৩ দশমিক ৩৮ ও কাজিপুর পয়েন্টে ১৫ দশমিক ৫১ মিটার রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে আগামী ৭২ ঘণ্টা যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
প্রসঙ্গত, গত জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে যমুনা নদীতে পানি বাড়তে শুরু করে। জুনের শেষে সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪৬ সেন্টিমিটার ও কাজিপুর পয়েন্টে ৭০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। ২ জুলাই থেকে টানা ৯ দিন পানি কমার পর ১০ জুলাই থেকে আবারও বাড়তে শুরু করেছে।
পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় যমুনার চরাঞ্চলগুলো দ্বিতীয় দফায় প্লাবিত হচ্ছে। আবারও বন্যা কবলিত হয়ে পড়ছে জেলার ৫টি উপজেলার ৩৫টি ইউনিয়নের মানুষ। ইতোমধ্যে বিপৎসীমা অতিক্রম করায় ভয়াবহ বন্যা আতঙ্ক বিরাজ করছে চরাঞ্চলের মানুষের মধ্যে।
সদর উপজেলার কাওয়াকোলা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম, রতরকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন ও মেছড়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ জানান, কয়েকদিন আগে যমুনায় প্রথম দফা বন্যা শুরু হয়। সেই পানি নামার আগেই আবারও বাড়ছে যমুনার পানি। সেই সঙ্গে দ্বিতীয় বারের মতো বন্যা দুর্ভোগে পড়েছেন চরাঞ্চলের মানুষগুলো। এরইমধ্যে অনেক বাড়ি-ঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্লাবিত হয়েছে বলে জানান এই জনপ্রতিনিধিরা।
অদিত্য রাসেল/টিপু
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন