ঢাকা     রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ৯ ১৪৩১

জলকেলিতে শেষ হলো মারমাদের সাংগ্রাই উৎসব

রাঙামাটি প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৫৫, ১৬ এপ্রিল ২০২৩  
জলকেলিতে শেষ হলো মারমাদের সাংগ্রাই উৎসব

বান্দরবানে জলকেলির (পানি ছিটানো) মধ্য দিয়ে মারমা সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব সাংগ্রাই শেষ হয়েছে। তিন দিনব্যাপী আয়োজিত সাংগ্রাই উৎসবের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ জলকেলি। এই উৎসবের মাধ্যমে পুরনো বছরকে বিদায় আর নতুন বছরকে স্বাগত জানান মারমারা।

রোববার (১৬ এপ্রিল) পার্বত্য জনপদের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠিগুলোর নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি, কৃষ্টি, ঐতিহ্য দেশবাসীর কাছে তুলে ধরতে প্রতি বছরের ন্যায় মারমা সংস্কৃতিক সংস্থা (মাসস) আয়োজন করে এ মনোরম অনুষ্ঠানের। 

উৎসব উপলক্ষে মাসস এর উদ্যোগে দুপুর ১২ টায় রাঙামাটির রাজস্থলীর বাঙ্গালহালিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয় জল উৎসব। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি।

আরো পড়ুন:

মাসস সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংস্ইু প্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেগম ওয়াসাকা আয়শা খান এমপি। এছাড়া অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান, রাজস্থলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উবাচ মারমা, রাজস্থলী উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা শান্তনু কুমার দাস, কাপ্তাই উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা রুমেন দে, কাপ্তাই সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রওশন আরা রব, সহকারী পুলিশ সুপার রাজস্থলী সাইফুল ইসলাম। 

আলোচনা সভা শেষে ঐতিহ্যবাহী মং (ঘণ্টা) বাজিয়ে ও ফিতা কেটে জল উৎসবের উদ্বোধন করেন দীপংকর তালুকদার। এরপর মারমা সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণীরা কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে একে অপরকে জল ছিটিয়ে উৎসবে মেতে ওঠেন। পাশাপাশি চলে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সাংগ্রাই উৎসবের সবচেয়ে আকর্ষণীয় পানি খেলা দেখার জন্য হাজার হাজার নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর উৎসবস্থলে সমবেত হন। এ উৎসব দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে পর্যটকরা ছুটে আসেন। সবস্তরের মানুষের উপস্থিতিতে এ উৎসব পাহাড়ি জনগোষ্ঠী ও বাঙালির মিলন মেলায় পরিণত হয়।

মারমা সাংস্কৃতিক সংস্থা মাসস-এর সভাপতি অংসুই প্রু চৌধুরী বলেন, এই উৎসবের মাধ্যমে আমরা পুরাতনকে বিদায় জানানোর পাশাপাশি পাহাড়ে সংঘাত ও চাঁদাবাজিসহ সব অপকর্মের অবসান হবে বলে আশা রাখি। আমরা চাই জল উৎসবের মাধ্যমে ভ্রাতৃত্ব বন্ধন আরো সুদঢ় হবে।  

সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার বলেন, বর্তমান সরকার পার্বত্য এলাকার উন্নয়নে আন্তরিক। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর উন্নয়নে সরকার বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ করছে। বৈসাবি উৎসব কেবল পাহাড়িদের নয়, এটি এখন সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে।

বিজয়/ মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়