ঢাকা     সোমবার   ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ১৫ ১৪৩১

সীমান্তে হত্যা বন্ধের দাবিতে প্রতীকী লাশের মিছিল 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:০৪, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪   আপডেট: ১৯:১৮, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
সীমান্তে হত্যা বন্ধের দাবিতে প্রতীকী লাশের মিছিল 

২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত ভারত সীমান্ত এলাকায় ১ হাজার ২৭৬ বাংলাদেশি হত্যার শিকার হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১ হাজার ১৮৩ জন। গত চার মাসে এ হত্যার সংখ্যা ২১ জন। অভিযোগের তীর ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের দিকে। গত ৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের ভেতরে ‘যুদ্ধের’ মর্টার সেল বাংলাদেশ সীমান্তে পড়ে দুই জন নিহত হয়েছে। এ পরিস্থিতিকে সীমান্তে ‘লাশের মিছিল’ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। অভিযোগ করা হয়েছে, গুলি করে পাখির মতো মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। দাবি জানানো হয়েছে, এ আগ্রাসন বন্ধের। এমন হত্যা বন্ধে কিছু প্রস্তাবনাও তুলে ধরা হয়েছে।

এ হত্যা বন্ধে প্রতীকী ‘লাশের মিছিল’ নিয়ে ব্যতিক্রম প্রচারণা চালানো শুরু হয়েছে। টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত দেশের প্রতিটি সীমান্ত এলাকায় এ প্রচারণা চালানো হবে। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়। শেষ করা হবে যশোরের বেনাপোল সীমান্তে। 

এ বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাতে সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় আসেন দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পাঁচ নাগরিক। মূলত ওই পাঁচ নাগরিকই দেশের বিভিন্ন সীমান্তে হত্যা বন্ধে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাবেন। তারা প্রতীকী লাশ নিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করছেন।

আরো পড়ুন:

সোমবার সকাল ১০টার দিকে আখাউড়া পৌর এলাকার সড়ক বাজারে বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক পৌর মুক্তমঞ্চের সামনে নোয়াখালীর মাইজদীর মো. হানিফ নামে এক ব্যক্তির নেতৃত্বে কর্মসূচি পালিত হয়। তার সঙ্গে ছিলেন, চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর নুরুল আজিম, রংপুরের পীরগাছার মো. আবু হোসেন নীরব, ঝালকাঠির সৌরভ হোসেন বেলাল, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের মো. আরিফ। কর্মসূচিতে স্থানীয় সাধারণ মানুষ যোগ দেয়। উপজেলা পরিষদের সামনে কর্মসূচির শুরু করা হয়।

মো. হানিফ জানান, গরু চোর কিংবা গরু চোরকারবারি বলে সীমান্তে এভাবে মানুষ হত্যা করা ঠিক নয়। এ হত্যা বন্ধের দাবিতে ও সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সারা দেশের সীমান্ত এলাকায় প্রতীকী লাশ নিয়ে মিছিল করা হচ্ছে। 

তিনি বলেন, ‘আমরা সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি সীমান্ত এলাকার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি হত্যা বন্ধে দুই দেশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জোরালো পদক্ষেপ কামনা করছি। আমরা এমন মৃত্যু আর দেখতে চাই না।’
 

রুবেল/বকুল

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়