ঢাকা     রোববার   ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  ভাদ্র ১৭ ১৪৩১

পাবনায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ

পাবনা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:২৮, ১৮ জুলাই ২০২৪  
পাবনায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ

পাবনায় আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা লাঠিচার্জ, টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে। এতে পুলিশসহ কয়েক জন আহত হয়েছে। বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুপুর ৩টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত পাবনা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় সংঘর্ষ হয়। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে আহত ও আটকদের নাম-পরিচয় দিতে পারেনি। 

প্রত্যক্ষদর্শী, শিক্ষার্থী ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পাবনা শহর থেকে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ এবং পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে শিক্ষার্থীদের আরেকটি অংশ পাবনা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় জড়ো হয়। তারা একসঙ্গে পাবনা শহরে প্রবেশের চেষ্টা করে।

এতে বাধা দিলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়। উভয়ের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা লাঠিচার্জ, টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। পরে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এতে পুলিশসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। ছত্রভঙ্গ হওয়ার সময় অন্তত ১০-১৫ জন শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ।

এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের প্রধান ফটকে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা। পরে কলেজের ডিগ্রি বটতলা মোড়ে ছাত্রলীগের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও গোলাগুলি হয়। শিক্ষার্থীদের ধাওয়ায় ছাত্রলীগের কর্মীরা পালিয়ে গেলে পাঁচটি মোটরসাইকলে ভাংচুর করে। পরে মুল শহর দখল করে ব্যাপক শোডাউন দিয়ে বাস টার্মিনালের দিকে চলে যায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

কয়েকজন শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তারা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করছিলেন। পুলিশ হঠাৎ করেই শহরে যাবার সময় বাধা দেয়। সেই বাধা উপেক্ষা করে যাবার সময় তারা টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। তখন ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া সংঘর্ষ হয়।

এ বিষয়ে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, ‘সকাল থেকে আমরা ধৈর্যের সঙ্গে মোকাবেলা করেছি। টার্মিনালে হঠাৎ করে পুলিশের ওপর হামলা করা হয়। তখন আমরা আত্মরক্ষার্থে টিয়ার শেল ও শর্টগান ব্যবহার করেছি। তাদের হামলায় আমাদের বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। কতজনকে আটক করা হয়েছে তা মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না।’
 

শাহীন/বকুল 

সম্পর্কিত বিষয়:

ঘটনাপ্রবাহ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়