ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

যবিপ্রবি ছাত্রী হলে নানাবিধ সমস্যা, ছাত্রীদের ক্ষোভ

সজীবুর রহমান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:১১, ৩ নভেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
যবিপ্রবি ছাত্রী হলে নানাবিধ সমস্যা, ছাত্রীদের ক্ষোভ

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শেখ হাসিনা হল নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত। এসব সমস্যা প্রতিনিয়ত বাড়াচ্ছে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি। হলের ডাইনিং, রিডিং রুম থেকে শুরু করে বাথরুম সব জায়গাতেই অন্তহীন সমস্যা। এতে শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

হলের প্রধান সমস্যা খাবারের মান। ছাত্র হলের খাবারের মান কিছুটা উন্নত হলেও ছাত্রী হলের খাবার নিম্নমানের। হলের অভ্যন্তরীণ একমাত্র ক্যান্টিন সেটাও দুমাস যাবৎ বন্ধ রয়েছে। এসব সমস্যার কারণে শিক্ষার্থীরা অনেক দিন ধরেই রুমে রান্না করে খায়। কিন্তু হঠাৎ ২৬ অক্টোবর পরীক্ষার আগের দিন হলে অভিযান চালায় হল প্রশাসন এবং সব রাইস কুকার, হিটার ও রান্নার সরঞ্জামাদি নিয়ে যায়, এতে পরীক্ষার ভেতর চরম ভোগান্তিতে পড়েছে শিক্ষার্থীরা।

এই সমস্যা থেকে সমাধানের উপায় জানতে চাইলে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘অনতিবিলম্বে ক্যান্টিন চালু করতে হবে। ক্যান্টিনে সকালের নাস্তা পর্যাপ্ত পরিমাণ থাকে, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যান্য খাবারসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী থাকতে হবে।’

শিক্ষার্থীরা জানায়, টয়লেট, বেসিন খুবই অপরিষ্কার। পরিচ্ছন্ন কর্মীদের বললেও তারা কর্ণপাত করে না। পুরো হলে ওয়াইফাই সেবার রাউটার স্থাপন করে ওয়াইফাই সংযোগ দিলেও রাউটার থেকে দূরের রুমগুলো সংযোগ পায় না, কিছু সময় পর পর সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং সংযোগ খুবই ধীরগতি সম্পন্ন। হলে নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ দেয়ার কথা থাকলেও নামমাত্র সেগুলো চলে, যা শিক্ষার্থীদের কোনো কাজে আসে না।

হলের ছাদ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, এই বিষয়ে পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষার্থী নাজনীন সুলতানা জানায়, হলের গেট ৭ টায় বন্ধ হয়ে যায়। ছাদও যদি বন্ধ থাকে, তাহলে মেয়েরা গল্প করবে কোথায় বসে? নাকি মেয়েদের জীবনে সুখ দুঃখ নাই? কেউ যদি আত্মহত্যা করতে চায় তো ছাদ থেকে লাফ দেয়ার অনেক বিকল্প আছে।

শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট ড. সেলিনা পারভীন বলেন, ‘ডাইনিং এর খাবারের মান উন্নয়নে কাজ চলছে এবং অতিরিক্ত বাবুর্চিও নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তবে ক্যান্টিন বন্ধের বিষয়টি পুরোপুরি সত্য নয়, এখানে খাবার সল্পতা থাকলেও ক্যান্টিন চলছে নিয়মিত। আমাদের পরিচ্ছন্ন কর্মীরা নিয়মিত পরিষ্কার করছে। তারপরও যদি টয়লেট বাথরুম নোংরা হয়, তাহলে আমি এখানে অবশ্যই ছাত্রীদের অবহেলাকে দায়ী করব। রিডিং রুমে চেয়ার, টেবিল ও ফোনের স্বল্পতা আছে, আমরা এ বিষয়ে বারবার প্রকৌশল দপ্তরকে অবহিত করার পরও তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।’ 


যবিপ্রবি/সজীব/হাকিম মাহি

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়