ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

মেধা ধ্বংসের তিন আগ্নেয়াস্ত্র

অরিত্র দাস || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:১০, ১৫ জানুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মেধা ধ্বংসের তিন আগ্নেয়াস্ত্র

শিক্ষা অর্জনের পথগুলো হবে স্বচ্ছ এবং মসৃণ। জীবনের প্রথম জ্ঞান অর্জনে ভয় নয়, উৎসাহের সঙ্গে জানা অনিবার্য। প্রতিযোগিতা নয়, সহযোগিতা। প্রতিযোগিতা জয়ী হতে সহায়তা করে বটে, কিন্তু জ্ঞান অর্জনে সহয়তা করে না।

কেননা প্রতিযোগিতা পরীক্ষা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে সীমাবদ্ধ। অপর দিকে জ্ঞানের শাখা প্রশাখাকে পরীক্ষা ও প্রতিযোগিতার মধ্যে সামীবদ্ধ করে রাখা যায় না। গভীরভাবে চিন্তা করলে দেখা যায়, সৃষ্টিশীলতার পথ রুদ্ধ করা এবং প্রতিভা ক্ষয়ের অন্যতম কারণ এ প্রতিযোগিতা। এটি শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রতিহিংসা পরায়ণতা তৈরি করে, প্রকৃতপক্ষে যথার্থ সদাশয় মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করে না। বর্তমান শিক্ষা পদ্ধতি প্রাথমিক শিক্ষাকে মৌলিক শিক্ষা থেকে সরিয়ে নিয়ে করে ফেলেছে জিপিএ-৫ পাওয়ার একটা অন্তঃসারশূন্য প্রতিযোগিতা।

জিপিএ-৫ এর উন্মাদনা আমাদের শিশুদের শিক্ষাজীবনকে নিরানন্দময় তো করছেই, সাথে তীব্রভাবে বিষিয়ে দিচ্ছে। জিপিএ-৫ ও ঘন ঘন পরীক্ষার উদ্বেগে শিশুরা খেলাধুলা করতে পারছে না। বন্ধুদের সাথে মিশে গল্প করতে পারছে না। পড়াশোনার বাইরের পৃথিবীটাকে তারা অবলোকন করতে পারছে না। ফুল, পাখি, বৃক্ষ, চন্দ্র, সূর্য, মাটি, নদী, জলের সাথে তাদের দূরত্ব বেড়ে যাচ্ছে। ফলে, তাদের শৈশব বলতে কিছু থাকছে না।

কিন্তু হওয়ার কথা ছিল উল্টো। আতঙ্ক নয়, আনন্দ থাকা বাঞ্ছনীয় ক্লাস রুমে। জোর নয়, খেলা করো ছড়া ও কবিতা নিয়ে। পাঠ্যবই পড়তে ভালো না লাগলে, দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদারের রূপকথার শিশুসাহিত্য ঠাকুরমার ঝুলি পড়ো। গোপাল ভাঁড় পড়ো। প্রখ্যাত কার্টুনিস্ট রামমোহনের মিনার কার্টুন দেখো। ক্লাস রুমে স্তব্ধ হয়ে বসে না থেকে বরং স্কুলের মাঠে ছুটে বেড়াও। দাবা খেলো। ফুটবল খেলো। গোল্লাছুট খেলো। তবলা বাজাও। নাচ করো। গান গাও। সাঁতার কাটো। পুকুরে মাছ ধরো। যা মন চায় চিৎকার করে সবাইকে জানিয়ে দাও। প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবেশ বলতে আসলে এরকম পরিবেশই বোঝায়। যা আমাদেশের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় দেখতে পাওয়া না গেলেও উন্নত দেশগুলোতে দেখতে পাওয়া যায়।

নেদারল্যান্ডসের শিশুদের শিক্ষার জগৎ খেলাধুলার মতো আনন্দময়। সাবলীল। এখানে মাধ্যমিক পর্যায়ের আগে কোনো শিশুকে বাড়ির কাজ এবং পড়াশোনার চাপ দেয়া হয় না৷ ফিনল্যান্ডের প্রাথমিক শিক্ষা পদ্ধতিও একই, কোনো শিশুকে বাড়ির কাজ দেয়া হয় না। এছাড়া সাত বছরের পূর্বে কোনো শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয়ে পাঠানো যায় না এবং কিশোর বয়সের আগে তাদের কোনো ধরনের পরীক্ষা নেই।

অন্যদিকে, জাপানের প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থা বলতে বোঝায় প্রথমত নীতি-নৈতিকতা, পরে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা। প্রাথমিক শিক্ষার ছয় বছর জাপানিরা শিশুদের শেখায় নম্রতা, ভদ্রতা ও নীতি-নৈতিকতা। এছাড়া জাপানে ১০ বছর বয়স পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা নেই। বৃটেনের শিশুদের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে পরীক্ষা দিতে হয় না। এমনকি ‘মুখস্থ বিদ্যা’ নামক শব্দ সম্পর্কে বৃটেনের বাচ্চাদের বিন্দুমাত্র ধারণা নেই।

অর্থাৎ উন্নত দেশে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় কোনো ধরনের পরীক্ষা নেই, কিন্তু তৃতীয় বিশ্বের দেশ বাংলাদেশে সে চিত্র আলাদা। শিক্ষা-দীক্ষায় সবচেয়ে উন্নত নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন, সিঙ্গাপুর ও অস্ট্রেলিয়াসহ ৮৭টির অধিক দেশে প্রাথমিক শিক্ষার মেয়াদ ৬ বছর। আমাদের দেশে প্রাথমিক শিক্ষা দেয়া হয় প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত। মাত্র পাঁচ বছর। ১৯৫৫ সাল থেকে এই ৫ বছর মেয়াদি কোর্স চলছে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায়। এর আগে ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা ৪ বছর মেয়াদি ছিল।

তার মানে দাঁড়ালো, উন্নত দেশের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে এদেশের শিক্ষা পদ্ধতির ব্যাপক ফারাক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘শিক্ষা’ সংজ্ঞার সাথে এদেশের শিক্ষার কোনো মিল নেই। সরকারের যারা এদেশের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে ভাবেন বা নীতিমালা প্রণয়ন করেন, তারা বাংলাদেশের শিশু, শিক্ষার্থী, পরিবেশ এবং শিক্ষা নিয়ে দো-টানার মধ্যে আছেন বলে একটা সংশয় সাধারণ মনে ঘুরপাক খাচ্ছে। কেননা শিক্ষাব্যবস্থা সংস্কারে বারবার ভিত্তিহীন পরিবর্তনশীলতা এই কথাই বলে দিচ্ছে। বস্তুত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম দেখে মনে হয়, কর্তা-ব্যক্তিরা নিজেদের উপর আস্থা হারিয়ে ফেলছেন। তারা আসলে কী সিদ্ধান্ত নিলে বা কোন উপায় অলম্বন করলে শিক্ষার্থীদের ভালো হবে, ঠিক বুঝে উঠতে পারছেন না।

আবার এমনও হতে পারে, তারা যেহেতু শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কাজ করেন, তাই শিক্ষাব্যবস্থায় তাদের একটা দায়বদ্ধতা আছে। তাই সেই দায়বদ্ধতা থেকে শিক্ষার ক্ষেত্রে কোনো ভূমিকা না রাখলে, শিক্ষাব্যবস্থা বারংবার সংস্কার না করলে তাদের অস্তিত্ব এবং পেশা দুটোই হয়তো সংকটে পড়ে যাবে। এ ভয়ে হয়তো তারা শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে একের পর অর্থহীন শিক্ষা পদ্ধতি প্রণয়ন করে যাচ্ছে।

সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘পাবলিক পরীক্ষা ছাড়া সমাপনী পরীক্ষাগুলোতে পুরো গ্রেডিং সিস্টেম তুলে দিয়ে কীভাবে মূল্যায়ন করতে পারি, সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীও দিকনির্দেশনা দিয়েছেন, সেটি নিয়ে আমরা কাজ করছি।’ এ থেকে স্পষ্ট যে, হয়তো আগামীতে সমাপনী থাকবে না, তবে পরীক্ষা থাকবে। পরীক্ষা থেকে শিক্ষার্থীদের মুক্তি নেই। তাহলে এখানে একটা প্রশ্ন দাঁড়ায়, যে শিক্ষা পদ্ধতির স্থায়িত্ব নেই, ভিত্তি নেই। একসময় বাধ্য হয়ে তুলে দিতেই হয়। দুর্বল সৃজনশীল পদ্ধতিও একসময় তুলে দিতে হবে। তাহলে এমন শিক্ষানীতির প্রয়োগ করার দরকার ছিলো কি? মোট কথা, আমাদের শিক্ষা সম্পর্কিত জ্ঞান ও দূরদর্শীতা দুটোই অত্যন্ত কম। আমরা আমাদের প্রণীত শিক্ষা পদ্ধতির ভবিষৎ ফলাফল সম্পর্কে অবগত নই।

যার কারণে উপেক্ষিত হচ্ছে ২০১০ সালে জাতীয় সংসদে গৃহীত সর্বশেষ পূর্ণাঙ্গ ‘জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০’। সেখানে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা ও নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থা রাখা হবে এবং এসএসসি পরীক্ষা তুলে নেয়া হবে। সেখানে সমাপনী (পিইসি) এবং জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেটের (জেডিসি) কথা উল্লেখ নেই।

এর আগে স্বাধীন বাংলাদেশে আরো ছয়টি কমিশন বা কমিটির রিপোর্ট ঘোষিত হয়েছিল। স্বাধীন বাংলাদেশে প্রখ্যাত বিজ্ঞানী ড. কুদরত-ই-খুদার নেতৃত্বে গঠিত প্রথম শিক্ষা কমিশন (১৯৭২) প্রাথমিক শিক্ষার মেয়াদ বাড়িয়ে আট বছর করার সুপারিশ (১৯৭৪) করে। পরবর্তীতে প্রায় সব শিক্ষা কমিশনই প্রাথমিক শিক্ষার মেয়াদ আট বছরে উন্নীত করার সুপারিশ বহাল রাখে। কিন্তু জাতীয় শিক্ষানীতির বাস্তবায়ন হতে দেখছি না।

সরকার যতগুলো শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার করেছে, তার সব যে খারাপ তা বলবো না। অনেক কিছু অবশ্যই ভালো। ধীরে ধীরে সমস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো সরকার জাতীয়করণ করছে। যেমন বার্বাডোজ নামক দেশটির বেশিরভাগ স্কুলই সরকারি৷ সরকারের বিপুল বিনিয়োগের কারণে সেদেশে স্বাক্ষরতার হার প্রায় ৯৮ শতাংশ৷ বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বপ্রথম ১৯৭৩ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের কাজটি শুরু করেন। পরবর্তীতে তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৩ সালে তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাকি বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণ করার কাজ শুরু করেন। সেই সাথে প্রাথমিক শিক্ষায় শিশুদের অংশগ্রহণের হার বৃদ্ধি, শ্রেণিকক্ষে লৈঙ্গিক সমতা প্রতিষ্ঠা, বিনামূল্যে বই বিতরণ, প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদান ও স্কুল ফিডিং কর্মসূচির মতো সরকারি-বেসরকারি নানা দীপ্তময় উদ্যোগ। সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে স্কুলের ছাত্রীদের সাইকেল সরবরাহ করা হচ্ছে।

ফলে   এডুকেশন-৯ ফোরামভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ তাঁর প্রতিবেশী দেশ ভারতসহ বিশ্বের অনেক শক্তিশালী রাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে গেছে। তবে এগুলো সংবিধানের মৌলিক শিক্ষা নিশ্চিত করার সার্বিক আয়োজন হতে পারে। কিন্তু শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে পারেনি।

কারণ, যে সফলতাগুলো নিয়ে এতক্ষণ কথা হচ্ছিলো, সেসব প্রাথমিক শিক্ষার বাহ্যিক উন্নয়ন, প্রাথমিক শিক্ষার ভেতরকার গুণগত উন্নয়ন নয়। নয় শিশুদের মনস্তাত্বিক উন্নয়ন। প্রাথমিক শিক্ষার শরীরি উন্নয়ন হয়েছে, এখন প্রাথমিক শিক্ষার মনের উন্নয়ন ঘটাতে হবে। আর তা ঘটাতে হলে ঘন ঘন পরীক্ষা পদ্ধতি তুলে দিতে হবে। শিশুশিক্ষা উন্নয়ন ও মেধা বিকাশে প্রধান অন্তরায় প্রত্যেক শ্রেণিতে একাধিক পরীক্ষাসহ পঞ্চম শ্রেণি এবং অষ্টম শ্রেণির পাবলিক পরীক্ষা। সার্টিফিকেট ব্যতীত এ পরীক্ষা একজন শিক্ষার্থীর জীবনে কোনো গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে না। বরং একজন শিশু শিক্ষার্থীকে জীবনের সরল রেখাপথে হাঁটতে শুরুতেই বাধা সৃষ্টি করে। তাঁর কোমল স্বপ্নালু জীবনকে আঘাৎ করে। অতএব, আমরা সার্টিফিকেট চাই, নাকি শিশুর মেধার উৎকর্ষ চাই- এটা একটা প্রশ্ন। আরো একটি প্রশ্ন সামনে এসে দাঁড়িয়েছে, আমরা পাশের হার চাই, নাকি গুণগত মানসম্পন্ন শিক্ষা চাই?

এত এত পরীক্ষা, এত ভীষণ প্রতিযোগিতা ও মুখস্থ বিদ্যা দিয়ে যখন স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে এদেশে একজন বিশ্ব বিখ্যাত ডাক্তার, বিজ্ঞানী, দার্শনিক তৈরি করা গেল না, তখন শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তনের মাধ্যমে একটা বিপ্লব দরকার। পরীক্ষার চেয়ে জানার প্রতি বেশি গুরুত্ব দিতে হবে, আবিষ্কারের চেয়ে উদ্ভাবনের উপর গুরুত্ব দিতে হবে। বাড়ির কাজের চেয়ে শিশুর মানসিক বিকাশে ও চিন্তার উৎকর্ষ সাধনে জোর দিতে হবে।

পরীক্ষা মেধা মূল্যায়নের চেয়ে হতাশা তৈরি করে বেশি। প্রতিটি স্তরে মানুষের চিন্তায়, ফলাফলে, যোগ্যতা ও দক্ষতায়, চলা-ফেরায়, কথা-বার্তায় পরিবর্তন আসে। সেই পরিবর্তনকে মসৃণ করতে পারে ঘন ঘন পরীক্ষা পদ্ধতির বাতিলকরণ এবং প্রতিযোগিতা নয়, সহযোগিতা। নয়তো সমাপনী পরীক্ষায় ব্যর্থ একজন শিক্ষার্থী জুনিয়র সার্টিফিকেট পরীক্ষার সময় পূর্বের কৃত ফলাফলের কারণের হতাশায় ভুগবে। ফলে তাঁর ভালো করার ইচ্ছাশক্তিটা হারিয়ে যাবে। আবার জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষার আশানুরূপ ফলাফল করতে না পারা একজন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় ভালো করার মানসিকতা হারিয়ে ফেলবে। তাই হতাশা সৃষ্টিকারী ঘন ঘন পাবলিক পরীক্ষা রদ করতেই হবে। কেননা ঘুণ পোকা যেমন কাঠের শরীরে বাসা বেঁধে কাঠটিকে আস্তে আস্তে শেষ করে দেয়। তেমনি হতাশা একজন শিক্ষার্থীকে তিলে তিলে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায়। দুশ্চিন্তায় ভুগতে হয় অভিভাবকদের।

শিক্ষা মানে শেখা। সেই শেখায় যখন জোরজবরদস্তি, পাস, ফেল, ভয়, আতঙ্ক, আত্মহত্যার প্রবণতা থাকে। তখন শিক্ষায় আর শেখার প্রবণতা থাকে না। বস্তুত মুখস্থ বিদ্যা, প্রতিযোগিতা, পরীক্ষা- নিছক কোনো শব্দ নয়, মেধা ধ্বংসের তিন আগ্নেয়াস্ত্র।

লেখক: শিক্ষার্থী, আইন ও বিচার বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।


জাবি/হাকিম মাহি

রাইজিংবিডি.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়