ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

দাবায় সফল মোস্তাকিম

আহমেদ ফাহিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৪৩, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
দাবায় সফল মোস্তাকিম

দাবা একটি ব্যতিক্রমী খেলা, যাতে প্রয়োজন মেধা এবং বুদ্ধি। সেই মেধা এবং বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে প্রতিপক্ষকে পরাজিত করে জয়ী হওয়া কষ্টসাধ্য। সেই কাজই সহজ করে একের পর এক দাবা প্রতিযোগিতায় পেয়েছেন সফলতা। নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবা চ্যাম্পিয়ন হয়ে খ্যাতি পেয়েছেন শ্রেষ্ঠ দাবাড়ু হিসেবে। বলছিলাম, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোস্তাকিম বিল্লাহ’র কথা।

দাবা প্রতিযোগিতায় মোস্তাকিমের রয়েছে বেশ কিছু সফলতা। এর মধ্যে রয়েছে নোবিপ্রবিতে আয়োজিত দাবা প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন (২০১৮ থেকে বর্তমান), জাতীয় পর্যায়ে দাবা খেলায় নোয়াখালী জেলা থেকে অংশগ্রহণ, নোয়াখালী জেলা চ্যাম্পিয়ন, দ্বিতীয় বিভাগ লিগে ‘ম্যানহাস ক্যাসল’ টিমের পক্ষে সবচেয়ে ভালো খেলে মোবাইল পুরস্কার লাভ, ২০১৯ সালে কুমিল্লা দাবা ক্লাব আয়োজিত টুর্নামেন্টে রানার আপ, আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় খেলায় নোবিপ্রবি টিমের পক্ষে সবগুলো ম্যাচে জয়লাভ, ২০২০ সালে কুমিল্লা দাবা ক্লাব আয়োজিত টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন, অনলাইনে দাবায় বাংলাদেশ চেস এরিনা টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন এবং তানভীর সাজ্জাদ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় দাবাতে চ্যাম্পিয়ন হন তিনি।

দাবায় আগ্রহী হওয়ার বিষয়ে মোস্তাকিম বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আমার যুক্তি ও বুদ্ধির চর্চা করতে ভালো লাগতো। আমার ছোট মামা ও দুলাভাই আমাকে দাবায় ভালো করার বিষয়ে যথেষ্ট অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। মূলত মামার কাছেই আমার দাবা খেলার প্রথম হাতেখড়ি হয়েছিল। আমার পিতা-মাতা, মামা, দুলাভাই আমাকে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন।’

দাবায় সাফল্যের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর অন্য যেকোনো খেলার চাইতে দাবা খেলায় সবচেয়ে বেশি যুক্তি ও বুদ্ধির চর্চা করা যায়। তার চেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে, খেলাটার প্রতি আমার ভালোবাসা সৃষ্টি হয়েছে। আর কোনো সৃষ্টিশীল কাজকে ভালোবাসলে যেকোনো ব্যাকগ্রাউন্ড থেকেই ভালো কিছু করা সম্ভব। দাবা খেলার জন্য আগ্রহী প্লেয়ার তেমন পাওয়া যায় না। তাই সাধারণত ইন্টারনেটে বিভিন্ন দেশের প্লেয়ারদের সাথে খেলি। এছাড়া অনলাইনে  দাবার ভিডিও টিউটোরিয়াল  দেখে প্র্যাকটিস করি। ২০১৭ সালের আগে আমি দাবা নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করিনি। তবে, গত তিন বছরে দাবা নিয়ে প্রচুর পড়াশোনা করেছি। প্রতিনিয়ত আরো ভালো খেলোয়াড় হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

দাবায় সাফল্য প্রসঙ্গে তিনি জানান, দাবা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে জয়ী হয়ে নোবিপ্রবির নাম উজ্জ্বল করতে পেরে তিনি আনন্দিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতা পেলে ভবিষ্যতে আরো ভালো করতে পারবে বলে তার বিশ্বাস। দাবায় গ্র্যান্ডমাস্টার হয়ে নিজ দেশ ও নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম উজ্জ্বল করতে চান এই দাবাড়ু।


নোবিপ্রবি/হাকিম মাহি

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়