ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

আবারো বেস্ট রিসার্চ অ্যাওয়ার্ড পেলেন কাওছার

আহমেদ ফাহিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:২১, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
আবারো বেস্ট রিসার্চ অ্যাওয়ার্ড পেলেন কাওছার

ডেলিভারিতে বাচ্চা সিজারে হবে নাকি নরমালে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারে তা জানা যাবে। এই বিষয়ে গবেষণাপত্র উপস্থাপন করে বেস্ট রিসার্চ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ফলিত গণিত বিভাগের ১০ম ব্যাচের শিক্ষার্থী কাওছার।

‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড কম্পিউটার সায়েন্স’ সম্মেলনে গবেষণাপত্র উপস্থাপন করে এই অ্যাওয়ার্ড পান তিনি। চলতি ফেব্রুয়ারিতে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এ সম্মেলনের আয়োজন করে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং সাইবার সিকিউরিটিতে নতুন আবিষ্কার ও গবেষণাগুলোকে সামনে নিয়ে আসার জন্য কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়। পৃথিবীর প্রায় ২০টির বেশি দেশ থেকে গবেষক, প্রফেসর, বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণাগুলো জমা দেন। এরমধ্যে বেস্ট রিসার্চ অ্যাওয়ার্ডের তালিকায় জায়গা করে নেয় নোবিপ্রবির আহমেদ কাওছারের গবেষণা। তার গবেষণাটি ছিল মেশিন লার্নিং অ্যান্ড ডিপ লার্নিং ব্যবহার করে একজন গর্ভবতী নারীর ডেলিভারি মোড জানা যাবে।

কাওছার জানান, ২০১৯ সালে জুন মাসে তিনি একটি নিউজ দেখেছেন বাংলাদেশে গত ২ বছরে সিজারের পরিমাণ ৫১ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। যেখানে প্রতি বছরে ৪৮৩ মিলিয়ন ডলারের বেশি সিজারের পেছনে খরচ হচ্ছে, যা একদম অপ্রয়োজনীয়। ডাক্তার, মেডিক্যালগুলোতে এক ধরনের মুনাফার লোভে ভয় সৃষ্টি করেছে সিজার করানোর জন্য।

তিনি বলেন, ‘এই গবেষণাটির মূল লক্ষ্য হচ্ছে, একজন ডেলিভারি রোগীকে কি সত্যি সিজার করা লাগবে, নাকি নরমাল ডেলিভারিতে হবে এবং সেটি এলগরিদম বলে দেবে। আমরা মেশিন লার্নিং অ্যান্ড ডিপ লার্নিং ব্যবহার করে মোটামুটি নির্ণয় করতে সক্ষম হয়েছি, একজন ডেলিভারি রোগীর সত্যি সিজার করা লাগবে কিনা। এই ক্ষেত্রে আমরা ৮৯ শতাংশের বেশি সঠিক প্রেডিকশন করতে সক্ষম হয়েছি। যেহেতু ডাক্তাররা এই ধরনের আবিষ্কারকে তাদের নিজেদের করে নেবেন না, তাই তাদের মুনাফার ক্ষতি হবে। তাই ভবিষতে যদি কোনো ফান্ড পাই, তাহলে সেটি এমনভাবে ডিজাইন করা হবে, যেন মানুষ নিজেরাই এটি ব্যবহার করে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তাদের বাচ্চা ডেলিভারি নর্মালে হবে নাকি সিজারে।’

কনফারেন্সে অ্যাওয়ার্ড পাওয়ার অনুভূতি সম্পর্কে কাওছার জানান, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করে অ্যাওয়ার্ড পাওয়া তার জন্য আনন্দের। এত বড় আয়োজনে নিজের বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রতিনিধিত্ব করে অ্যাওয়ার্ড জেতা গর্বের বিষয়। এ ধরনের প্রাপ্তি নতুনভাবে কাজ করার অনুপ্রেরণা দেয়।

কাওছার স্বপ্ন দেখেন বিশ্ব দরবারে নিজ বিশ্ববিদ্যালয় নোবিপ্রবির হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন। সে আশা নিয়ে কাওছার যোগদান করেছেন আমেরিকা ভিত্তিক একটি সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠানে।


নোবিপ্রবি/হাকিম মাহি

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়