ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

জবিতে একুশের আলপনা

অনিক রহমান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:০০, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
জবিতে একুশের আলপনা

অনেক ত্যাগ, মমত্ববোধ, আবেগ আর ভালোবাসার আজ একুশে ফেব্রুয়ারি, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। এই দিনে দেশের সকল পথ যেন মিলেছে শহীদ মিনারে এসে। ছোট থেকে বড় সব বয়সী মানুষের ভিড়ে মুখরিত দেশের সব শহীদ মিনার।

শ্রদ্ধাবোধের জায়গা থেকে থেমে নেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোও। এ ধারাবাহিকতায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ও সামিল হয়েছে একুশের প্রভাতফেরির কাতারে। নানা সংগঠন ও হরেক রকমের শ্রেণি-পেশার মানুষের শ্রদ্ধাঞ্জলিতে ভরে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মিনার।

রঙ বেরঙের ফুল, ফুলের তোড়া, কিংবা বড় বড় অক্ষরে লেখা পুষ্পাঞ্জলির আবেশে ভরে উঠেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মিনার। প্রথমবারের মতো আঁকা হয়েছে আলপনা। বছরের একটি দিনকে ঘিড়ে এত আয়োজন তাদের।

রাত ১২টা ১ মিনিট, একুশের প্রহর শুরু হতে না হতেই শহীদ মিনারে পুষ্পাঞ্জলি দেয়া শুরু হয়ে যায়। জবির শহীদ মিনার হয়ে ওঠে সর্বসাধারণের পদার্পণে মুখরিত। যেন শহীদদের প্রতি মায়াভরা চোখ, বুকভর্তি শ্রদ্ধা নিয়ে ফুল দিয়ে অঞ্জলি দিচ্ছেন সবাই।

শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও ছাত্রদের ভিন্ন ভিন্ন সংগঠন। ফুল দিতে আসা শিক্ষার্থীরা জানান, ভাষা আন্দোলনের সাথে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। ভাষা শহীদ রফিক তৎকালীন জগন্নাথ কলেজের ছাত্র ছিলেন। তাই তাদের ভাষা আন্দোলনের প্রতি রয়েছে আলাদা টান।

প্রথমবারের মতো বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শহীদ মিনারে আলপনা তৈরির এই কার্যক্রমের উদ্যোগ নিয়েছিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। এতে অংশ নেন চারুকলা বিভাগের ১৫ জন শিক্ষার্থী। যারা সবাই জবি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সদস্য।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জবি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সভাপতি ফাইয়াজ হোসেন বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে একুশে ফেব্রুয়ারিকে ঘিড়ে এর আগে কখনো শহীদ মিনারে আলপনা তৈরি করা হয়নি। আমাদের সংগঠনের উদ্দ্যোগে সর্বপ্রথম এমন কাজ করতে পেরে আমি সত্যিই গর্বিত।’

৫২’র ভাষা আন্দোলনে শহীদদের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত এই ভাষা। তাদের রক্তকেই আলপনা ও ফুলের মধ্য দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে। যেন মনে হয়, শহীদদের তাজা রক্তে রাঙা হয়ে উঠেছে সবকিছু। আব্দুল গাফফার চৌধুরী হয়তো এই থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই লিখেছিলেন, ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি।

লেখক: শিক্ষার্থী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।


জবি/হাকিম মাহি

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়