অভিমানী পৃথিবী
আন্তনী সজীব || রাইজিংবিডি.কম
পৃথিবী, সমস্ত কবিতার সত্তায়
তোমার রূপ-লাবণ্য, যৌবন আর স্নিগ্ধতার কথা
লিখে তোমায় উজার করেই নাহয় ভালোবাসতাম,
কিসের এত অভিমান তোমার!
শত কোটি মানুষের দুগ্ধপ্রবাহিনী মাতা
তোমার এত অভিমান আমার প্রতি,
আজ কি তবে আমায় খাওয়াতে পড়াতে,
কোলে দুলিয়ে ঘুম পাড়াতে, আদরে-শাসনে
লালন করতে করতে ক্লান্ত তুমি?
নাকি তোমার রুষ্ট রূপ,
বিদ্যুৎ বেগে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর ক্ষমতা
আমাদের দেখিয়ে সন্তানের থেকে
সুদূরে যেতে চাও চিরোকালের?
আজ কি তুমি অসুস্থ, পৃথিবী?
নাকি অনেকটা বেশি ক্লান্ত?
অসুস্থ হলে তোমার শত কোটি সন্তানের যত্ন
তুমি নিশ্চয়ই পাবে, হে ধরণী।
ক্লান্ত হলে তোমায় আমরা শান্ত করবো
পরম সৌহার্দ্যে।
সুস্থ হয়ে ওঠো হে পৃথিবী,
তোমার মাটিতে অনেক দিন
খালি পায়ে বেড়াইনি নদীর ভেজা মাটিতে।
সুস্থ হয়ে ওঠো হে ধরণী,
কতগুলো দিন হয় তোমার সিগ্ধ বাতাসে
দু’হাত মেলে দিয়ে, উর্ধ্বপানে মুখ তুলে
চোখ বন্ধ করে প্রাণ জুড়ানো শ্বাস নেই না।
হে মহাবিশ্ব, তুচ্ছ্য অজ্ঞ মানুষ্যের দোষ
উদার তুমি ধরো না কখনো,
ঝেড়ে ফেলো সব অভিমান,
সোনার দামে কেনা
আমাদের প্রাণের উচ্ছ্বাসগুলোকে
তোমার অভিমানের দাবানলে জ্বালিয়ে
ভস্মীভূত করোনা মিনোতি করি করজোড়ে।
আমাদের ক্ষমা করে
হাসি মুখে ফিরে এসো, ওগো জননী।
কবি: শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
জবি/মাহবুব/মাহি
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন