ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

‘এ কেমন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড?’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:০৯, ১০ জানুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘এ কেমন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড?’

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রচারে বিএনপির শীর্ষ নেতারা অংশ নিতে পারলে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা কেন পারবেন না, সে প্রশ্ন তুলে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘এ কেমন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড?’

শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর এলেনবাড়িতে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক ভবন আধুনিকীকরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পাল্টা এ প্রশ্ন করেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির মহাসচিব প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন, অথচ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পারবেন না, এ কেমন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড? আমি আপনাদের বিবেকের কাছেই প্রশ্ন রাখছি। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড কাকে বলে? আজকে বিএনপির মহাসচিব, তিনি প্রকাশ্যে জনসভা করতে পারবেন, নির্বাচনী প্রচারণা করতে পারবেন, গণসংযোগ করতে পারবেন। অথচ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেটা করতে পারবেন না। আজকে মওদুদ আহমদ সাহেব, খন্দকার মোশাররফ হোসেন সাহেব প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন, কিন্তু আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ তারা এমপি, সে কারণে তারা পারবেন না। সেটা কি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হলো?”

নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমি নির্বাচন কমিশনের কাছে জানতে চাই, এটা কেমন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড? এখানে ফিল্ডে মির্জা ফখরুল আছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নেই। এই বিষয়টার আমি কোনো সুরাহা খুঁজে পাচ্ছি না।’

পৃথিবীর অন্যান্য দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়ার কথা তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচনে, কর্নাটকের বিধানসভা নির্বাচনে ভারতের প্রধানমন্ত্রীও প্রচারণায় অংশ নেন। পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কেন্দ্রীয় নেতারা অংশ নেন। সেখানে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের কোন প্রশ্ন উঠছে না, আইন লঙ্ঘন হয় না। বাংলাদেশে কেন লঙ্ঘন হবে? সে প্রশ্নের জবাব আমরা আজও খুঁজে পাইনি।’

‘আমি তার পরেও বলব, নির্বাচন কমিশনের যে আচরণবিধি তা আমরা পালন করব। আমি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, আমি আচরণবিধি মন্ত্রী-এমপি হিসেবে মেনে চলছি’, বলেন ওবায়দুল কাদের।

মন্ত্রী-এমপিদের নির্বাচনী প্রচারে অংশ না নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন, জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আচরণবিধি যেহেতু হয়েই গেছে- এটা নিয়ে প্রশ্ন আছে, বিতর্ক আছে; যেটা আমি বললাম। তারপরেও যেটা হয়ে গেছে সেটা মানতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘এখানে মন্ত্রী-এমপিদের বিধি-নিষেধ আছে। যেহেতু আচরণবিধি লঙ্ঘন হবে, তাই দলীয়ভাবে আমাদের নেতাকর্মীদের আমরা নির্দেশ দিয়েছি। মন্ত্রী-এমপিদের প্রধানমন্ত্রী স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, কোনোভাবে যেন আচরণবিধি লঙ্ঘন করা না হয়।’

সড়কের ক্ষতি কমাতে ২৮টি লোড কন্ট্রোল স্টেশন স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘একনেকে ২৮টি লোড কন্ট্রোল স্টেশন স্থাপনের প্রকল্প পাস হয়েছে। আজকে ভারী পরিবহন সড়ক নষ্ট করে দিচ্ছে। ক্ষতি থেকে সড়কগুলোকে রক্ষা করতে হলে আমাদের প্রয়োজন লোড কন্ট্রোল ব্যবস্থা কার্যকর করা। এই ২৮টি লোড কন্ট্রোল স্থাপনের কাজ যত দ্রুত সম্ভব শেষ করতে হবে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করবে বলে আমি আশা করছি।’

 

ঢাকা/পারভেজ/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়