ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

এসএমই খাত বিবেচনায় ৭ শতাংশ ভ্যাট চায় ডিসিসিআই

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:২০, ১৩ মার্চ ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
এসএমই খাত বিবেচনায় ৭ শতাংশ ভ্যাট চায় ডিসিসিআই

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : অতিক্ষুদ্র এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এমএসএমই)  খাতকে বিবেচনায় নিয়ে আগামী ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে ৭ শতাংশ ভ্যাট দাবি করেছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (ডিসিসিআই)।

সোমবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে অনুষ্ঠিত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় ডিসিসিআই সভাপতি আবুল কাশেম খান এ দাবি করেন।

আবুল কাশেম বলেন, মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) ৩০ শতাংশের বেশি অবাদান রাখে অতিক্ষুদ্র এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এমএসএমই)  খাত। বেসরকারি খাতে ৭৫ শতাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এ খাতসংক্রান্ত। দেশের কর্মসংস্থানের ৭৫ শতাংশ হয় এমএসএমই খাতের মাধ্যমে। শিল্প খাতে চাকরির ৮০ শতাংশই এমএসএমইভিত্তিক। অথচ নতুন ভ্যাট আইনে সরকার সবার ওপর খুচরা পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করেছে। নতুন আইনে খুচরা পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের ফলে এসএমই ব্যবসায়ীরা মারাত্মকভাবে আথিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হবে। তাই নতুন আইনে ভ্যাট ১৫ শতাংশের পরিবর্তে ৭ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি।

টার্নওভার ট্যাক্স লিমিট বৃদ্ধি করার প্রস্তাবে তিনি বলেন, বড় ব্যবসায়ীদের বর্তমানে টার্নওভার ট্যাক্স লিমিট বর্তমানে ৮০ লাখ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে  ১ কোটি ২০ লাখ টাকা, খুচরা ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে বার্ষিক টার্নওভার শূন্য থেকে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ভ্যাটমুক্ত ও ৫০ লাখ টাকা থেকে ১ কোটি ২০ লাখ পর্যন্ত ৩ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি। এছাড়া প্রত্যেক ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন হোল্ডারদের সরকারি নিজস্ব খরচে ইসিআর মিশন স্থাপনসহ ভ্যাট স্মার্ট কার্ড সরবরাহের প্রস্তাব করছি।

ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৩ লাখ টাকা, পরবর্তী ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ১০ শতাংশ, ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত ১৫ শতাংশ, ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ২০ শতাংশ ও অবশিষ্ট আয়ের ওপর ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি। এছাড়া মহিলা করদাতা ও ৬৫ বছর বয়সের বেশি করদাতার ক্ষেত্রে করমুক্ত আয়সীমা ৪ লাখ টাকা, প্রতিবন্ধী করদাতার করমুক্ত আয়সীমা ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষেত্রে ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করছি।

তিনি বলেন, নিট সম্পদের ওপর আরোপিত সারচার্জের হার ২ কোটি ২৫ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ কোটি টাকা করার প্রস্তাব করছি। এছাড়া নন-পাবলিক ট্রেডেড কোম্পানির করপোরেট করহার ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩০ শতাংশ করার প্রস্তাব, পাবলিক ট্রেডেড কোম্পানির করহার ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে সাড়ে ২২ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি। মার্চেন্ট ব্যাংকের ক্ষেত্রে করপোরেট করহার অন্যান্য লিমিটেড কোম্পানির মতো সাড়ে ৩৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩৫ শতাংশ প্রস্তাব করছি। ব্রোকারেজ অ্যাসোসিয়েশনের ক্ষেত্রে করপোরেট করহার ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে সাড়ে ৩২ শতাংশ ও কোম্পানির লভ্যাংশ আয়ের ওপর আরোপিত করহার ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি।

প্রাক-বাজেট আলোচনায় সভাপতির বক্তব্যে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান বলেন,  ডিসিসিআই এনবিআরের গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন। এনবিআর ডিসিসিআইয়ের প্রস্তাবগুলো গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করবে।

তিনি বলেন, করসেবা বাড়াতে বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন শহরে আয়কর ক্যাম্প চালু করবে এনবিআর। আসুন আমাদের সন্তানদের কথা চিন্তা করে, নতুন প্রজন্মের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আমরা সবাই সঠিকহারে রাজস্ব দিই।

আলোচনা সভায় ডিসিসিআই বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ ও এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৩ মার্চ  ২০১৭/এম এ রহমান/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়